বিক্ষোভ: বুধবার শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্কের গেটে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিএমএস কর্মী-সমর্থকরা। নিজস্ব চিত্র।
কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া শ্রম আইনের বিরোধিতায় ইতিমধ্যেই পথে নেমেছে তৃণমূল, বাম ও কংগ্রেস। এ বার ওই আইনের বিরোধিতায় পথে নামল সঙ্ঘের শ্রমিক সংগঠন ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘও (বিএমএস)। বুধবার শিলিগুড়িতে কেন্দ্রীয় শ্রম আইনের বিরোধিতায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করে ওই সংগঠন। মিছিল করতে চাইলেও পুলিশের অনুমোদন না মেলায় স্ট্রিট কর্নার হয়েছে। ওই কর্মসূচিতে ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারাও।
বিরোধীদের দাবি, শ্রমিকদের কাছে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা বজায় রাখতেই এখন শ্রম আইনের বিরোধিতা করে পথে নেমেছে বিএমএস। যদিও সংগঠনের দার্জিলিং জেলা সভাপতি আশিস সাহা বলেন, ‘‘আমরা কোনও রাজনৈতিক দলের লোক নই। ভোটেরও কোনও ব্যাপার নেই। নয়া কেন্দ্রীয় আইনে শ্রমিকদের স্বার্থ নষ্ট হতে বসেছে বলে প্রতিবাদে নেমেছি।’’
সংগঠন সূত্রে খবর, এই কর্মসূচির প্রস্তুতি চালানো হয়েছে আগে থেকেই। সংগঠনের জেলা সম্পাদক বিশ্বজিৎ গুহ জানান, ১০-১৬ অক্টোবর জেলার বিভিন্ন ছোট-বড় শাখায় বৈঠক করেছে বিএমএস। নেতাদের দাবি, সংগঠনের কেন্দ্রীয় জাতীয় সম্মেলনে সিদ্ধান্ত হওয়ার পর কর্মসূচি কার্যকর করা হচ্ছে। এ দিন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা রঞ্জন কুমার সাউও ছিলেন। তাঁর দাবি,আইন পাশের পর বিধি তৈরির কাজ চলছে। দাবি মেনে বিধিতে বদল না আনা হলে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আরও বড় আন্দোলনে যাবে সংগঠন। এ দিন বেশ কয়েকজন সদস্য পতাকা নিয়ে দুপুরে বাঘাযতীন পার্কের গেট থেকে মিছিল করতে গেলে তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, ‘‘অনুমতি ছাড়া কাউকেই মিছিল করতে দেওয়া যাবে না।’’
বিষয়টি নিয়ে বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য ও উত্তরবঙ্গের নেতা রথীন বসু বলেন, ‘‘বিজেপি আর সঙ্ঘ পরিবার এক নয়। ওদের দাবি ওরা জানাতেই পারে। কী বিষয় ছিল আমার জানা নেই।’’ দার্জিলিং জেলা তৃণমূল সভাপতি রঞ্জন সরকার বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের অন্ধ সমর্থনে দাঁড়িয়ে পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে আরএসএসের। তাই বাধ্য হয়েই এখন পথে নামতে হচ্ছে।’’