—প্রতীকী চিত্র।
তৃণমূলের দ্বন্দ্ব ফের মাথাচাড়া দিয়েছে কোচবিহারে। কোনও রাখঢাক না করেই এক নেতাকে আক্রমণ করছেন অন্য নেতা। সূত্রের খবর, এই সুযোগেই ঘর গুছিয়ে নিতে ময়দানে নেমে পড়েছে বিজেপি। গ্রামে-গ্রামে ঘুরে কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করার কাজে নেমে পড়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। দু’দিন আগেই কোচবিহার উত্তর বিধানসভায় দলের শক্তি কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্তদের নিয়ে বৈঠক করেন কোচবিহার জেলা বিজেপির সভাপতি সুকুমার রায়। সেই সঙ্গে বিজেপির বুথ কমিটি তৈরির কাজও চলছে জোরকদমে। সেই কমিটি তৈরির সময়ে থেকেই দলের কর্মীদের এ বার সক্রিয় হয়ে ওঠার পরামর্শ দিচ্ছেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি মনে করছে, রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আর এক বছর সময় রয়েছে। এখন থেকেই ঘর গোছানোর কাজ করতে না পারলে পরে তা কঠিন হয়ে পড়বে।
বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, ‘‘দলের সংগঠন যথেষ্ট শক্তিশালী। রাজ্যের শাসক দল নানা ভাবে আমাদের কর্মীদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করে। তাতে লাভ হবে না। সময় মতো সবাই ময়দানে নামবে।’’ বিজেপির কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসুর কথায়, ‘‘তৃণমূল একটি দুর্নীতিগ্রস্ত দল। জোর করে ক্ষমতা ধরে রেখেছে। স্বাভাবিক ভাবেই ওই দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব হবেই। আমাদের কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। সময় হলেই সবাই দেখতে পাবে।’’
কোচবিহারে বিজেপির ছ’জন বিধায়ক রয়েছে। কিন্তু সে অনুযায়ী সংগঠনের কর্মসূচি নেই। এ বারের লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার আসন বিজেপির হাত থেকে ছিনিয়ে নেয় রাজ্যের শাসক দল। বিজেপির দাপুটে নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিককে ৩৯ হাজার ২৫০ ভোটে হারিয়ে দেন তৃণমূলেট জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া। সেই থেকে বিজেপির সংগঠন পুরোপুরি ভেঙে পড়ে কোচবিহারে। দলীয় সূত্রেই জানা গিয়েছে, যে সব এলাকায় বিজেপির বিধায়ক রয়েছে সেখানেও কর্মসূচি করতে গিয়ে লোকের অভাবে হোঁচট খেতে হয়েছে বিজেপিকে। এ বার সেই অবস্থার পরিবর্তন চাইছে বিজেপি। বিজেপি মনে করছে, তৃণমূল নেতৃত্ব এখন নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে নেমেছেন। এটাই মাঠে নেমে সংগঠন গোছানোর সময়। তৃণমূল অবশ্য বিজেপির সাংগঠনিক কাজকর্মকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। দলের কোচবিহার জেলা চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ বলেন, ‘‘আমাদের দলে কোথাও কোনও দ্বন্দ্ব নেই। মতের অমিল কখনও দ্বন্দ্ব নয়। স্বাভাবিক ভাবেই বিজেপি সেখান থেকে কোনও সুবিধে পাবে না। বরং আগামী দিন বিজেপির সংগঠন টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে। কারণ বিজেপি মানুষের স্বার্থে কাজ করছে না।’’