এই পঞ্চায়েতেই আনা হয়েছিল অনাস্থা প্রস্তাব নিজস্ব চিত্র।
অনাস্থা প্রস্তাবে সই করেও ভোটাভুটির সময় গরহাজির তৃণমূল সদস্য। তার ফলে বিজেপি প্রধানকে সরিয়ে পঞ্চায়েতের দখল নিতে পারল না তৃণমূল। এই ঘটনার জন্য দলীয় নেতৃত্বকেই দায়ী করলেন তৃণমূল সদস্যরা।
বিজেপি পরিচালিত মালদহের মানিকচক পঞ্চায়েতের প্রধান বিউটি মণ্ডলের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে তৃণমূল। সেই প্রস্তাবে সই করেন তৃণমূলের ১০ সদস্য। পঞ্চায়েতের মোট সদস্যের সংখ্যা ১৮। সুতরাং প্রধানকে সরাতে ১০ জনের ভোটের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার ভোটাভুটিতে দেখা গেল এক সদস্য অনুপস্থিত। ফলে ভেস্তে গেল অনাস্থা প্রক্রিয়া।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের অভিযোগ, মানিকচকের বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রের জামাই সোমদীপ সরকারের যোগসাজশের ফলেই বিজেপি প্রধানকে সরানো যায়নি। সোমদীপের নির্দেশেই ওই তৃণমূল সদস্যকে জোর করে আটকে রাখা হয়। তাঁদের অভিযোগ, মোটা টাকার বিনিময়ে তৃণমূল নেতা সোমদীপ বিজেপি-র সঙ্গে আঁতাত করেছেন।
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মানিকচক অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি সানোয়ার পারভেজ। তাঁর দাবি, এই ঘটনায় সোমদীপ কোনও ভাবেই যুক্ত নন। ভবিষ্যতে বিজেপি প্রধানকে সরিয়ে তাঁরা পঞ্চায়েত দখল করবেন বলেও জানিয়েছেন অঞ্চল সভাপতি।