—নিজস্ব চিত্র।
লখিমপুর খেরি প্রসঙ্গে বিজেপিশাসিত যোগী-রাজ্যে ‘কিলিং-রাজ’-এর অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ রাজ্যে এসে সে প্রসঙ্গ এড়িয়ে গেলেও মমতার সরকারকে পাল্টা কটাক্ষ করলেন নরেন্দ্র মোদী সরকারের মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। দাবি করলেন, এ রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলার যা হাল, তা বলার মতো নয়। সেই সঙ্গে তাঁর আরও দাবি, বিধানসভা নির্বাচনে জেতার পরেও বাংলায় গণতন্ত্র কায়েম হয়নি। বরং মমতার দল তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের হাতে আইন-শৃঙ্খলার রাশ চলে গিয়েছে। ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’র জেরে রাজ্যে গণতন্ত্রের আবহ নষ্ট হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
মঙ্গলবার জলপাইগুড়িতে একটি কর্মসূচিতে যোগদানের জন্য এসেছিলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রিজিজু। শহরের স্টেশন রোডে স্বচ্ছ ভারত অভিযান কর্মসূচিতে অংশ নেন তিনি। এর পর দয়াল ভবনে আর একটি কর্মসূচিতেও যোগ দেন। সেখানে দলীয় কর্মী, আইনজীবী ও শিক্ষক সংগঠনের তরফ থেকে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত বিশিষ্টজনের সঙ্গেও মত বিনিময় করেন রিজিজু। লখিমপুর খেরির প্রসঙ্গ নিয়ে সরাসরি মন্তব্য এড়িয়ে গেলেও ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’র জেরে এ রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর কটাক্ষ, ‘‘উত্তরপ্রদেশের কথা ছাড়ুন না! পশ্চিমবঙ্গে আইন-শৃঙ্খলার কী হাল... ভারতের এমন কোনও রাজ্য দেখেছেন যেখানে ভোটে জেতার পরও সরকারের শাসনতন্ত্র কাজ করে না। রাজনৈতিক দলের হাতে আইন-শৃঙ্খলার রাশ চলে যায়। তারা প্রভাব বিস্তার করে!’’
প্রসঙ্গত, রবিবার উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে বিক্ষোভের সময় চার জন কৃষক-সহ মোট ন’জন নিহত হয়েছেন। ওই ঘটনায় গোটা দেশ জুড়েই বিরোধীদের তোপের মুখে পড়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ তথা বিজেপি নেতৃত্ব। মমতার দাবি, যোগীর রাজ্যে গণতন্ত্র নেই। স্বৈরতন্ত্র চলছে। সেখানে রামরাজ্যের কথা বলে ‘কিলিং-রাজ’ চালানো হচ্ছে। লখিমপুর প্রসঙ্গে অবশ্য কোনও মন্তব্য করেননি রিজিজু।