প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
দলীয় সংগঠন ধরে রাখতে গ্রামে গ্রামে প্রচার শুরু করেল বিজেপি। দলের নেতা-কর্মীদের মুখে এখন একটাই কথা— বিধানসভা নির্বাচনের আগে জেলায় জেলায় সভা করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর তাতেই গোটা রাজ্যের অধিকাংশ বিধানসভায় জয়ী হবেন তাঁরা। সম্প্রতি শেষ হওয়া উপনির্বাচনে তিনটি বিধানসভা আসনে হেরে যায় বিজেপি। ময়দানে নেমে সংগঠনকে আবার চাঙ্গা করতে শুরু করে তৃণমূল। দলের তরফে প্রচার করা হয়, কয়েক মাসেই বিজেপির কার্য়কলাপে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ। তাই বিজেপি আর জিততে পারবেন না। দলীয় সূত্রে খবর, খানিকটা সন্দিহান হয়ে পড়েন বিজেপি কর্মীরাও। সে কারণেই ফের প্রচার।
মুখে অবশ্য বিজেপি নেতৃত্ব ওই কথা স্বীকার করছেন না। তাঁদের দাবি, সংগঠনে কোনও প্রভাব পড়েনি। দলের কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, “নরেন্দ্র মোদী শুধু দেশ নয়, এখন গোটা বিশ্বের নেতা। তাঁর দলের প্রচারে তিনি বিধানসভার আগে রাজ্যে আসবেন এটাই স্বাভাবিক। আর তিনি আসা মানে তার একটা প্রভাব পড়বেই।”
অবশ্য এর পাশাপাশি বিজেপি নেতৃত্ব উপনির্বাচনে হারের কারণ হিসেবে একাধিক বিষয় তুলে এনেছেন। তাঁদের পর্যালোচনায় উঠে এসেছে এনআরসি নিয়ে তৃণমূল মাঠে এবং সোশ্যাল নেটওয়ার্কে যে প্রচার চালিয়েছে তার সঙ্গে টক্কর দিতে পারেনি বিজেপি। সে জন্যেই সাধারণ মানুষের মধ্যে একটি বিরূপ প্রভাব পড়েছে, যা তাঁদের ক্ষতি করেছে।
এরই সঙ্গে আরও একটি বিষয় প্রচারে আনছে বিজেপি। দলীয় নেতৃত্ব দাবি করছেন, ২০০৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে ভাল ফল করেছিল তৃণমূল। তারপরেই উপনির্বাচনে আবার রাজ্যেই বামেরা জয়ী হয়। তাই উপনির্বাচনের সঙ্গে মূল নির্বাচনের কোনও সম্পর্ক নেই। তৃণমূলের দাবি, বিজেপি’র সংগঠন ভেঙে পড়েছে। অনেককেই নানা মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে দলে টেনেছিল তারা। এখন সবাই সব বুঝতে পারছে।
তৃণমূলের কোচবিহার জেলার কার্যকরী সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “শুধু ধর্মীয় মেরুকরণ করে ফয়দা লোটার চেষ্টা করছে বিজেপি। যা করছে তা মানুষকে বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।’’