পাহাড়ে ঘর গোছাতে ফের মাঠে নামছেন বিনয় তামাং। হারানো জমি ফিরে পাওয়ার কৌশল ঠিক করতে ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিনয় তামাং ও অনীত থাপা। সূত্রের খবর, জিটিএর মাধ্যমে পাহাড়ে উন্নয়নের কাজ করার নতুন পরিকল্পনার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইমতো জিটিএর কাজ দেখভালের বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অমরসিংহ রাইকে। আর সেই উন্নয়নের অস্ত্রেই আবার পাহাড়ের সমর্থন ফিরে পেতে চাইছেন বিনয়, অনীতরা।
বিনয় জানিয়েছেন, অমরকে জিটিএর প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। চলতি মাস থেকেই পাহাড়ে একাধিক সরকারি প্রকল্পের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন জিটিএর চেয়ারম্যান অনীত থাপা। বিনয় বলেন, ‘‘জমির পাট্টা প্রদান-সহ ভোটের সময় যে ৩১টি প্রতিশ্রুতির কথা বলেছিলাম সেগুলির সবক’টি-ই পূরণ করব আমরা। সেইকাজে মুখ্যমন্ত্রী আমাদের পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। ভোটে হারলেও কথার খেলাপ করব না। মানুষের সমর্থন পেতে এটাই আমাদের প্রধান রাস্তা।’’
মঙ্গলবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিনয়, অনীত। বৈঠকে অমরসিংহ রাইও উপস্থিত ছিলেন। সেখানে ভোটে হারের কারণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, কেন ভোট কমল তার একটি রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রীকে দিয়েছেন বিনয়। পাশাপাশি পাহাড়ে বেশকিছু কাজের পরিকল্পনার কথাও বলেছেন তিনি।
ভোটের সময় পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকায় প্রচারে গিয়ে ছোট, বড় নানা সমস্যার কথা জেনেছেন বিনয়, অনীতরা। সেগুলির মধ্যে রাস্তা, নর্দমার বেহাল দশা, পানীয় জলের সমস্যা, স্কুলের সমস্যা রয়েছে। জিটিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকাভিত্তিক ওই সমস্যাগুলি লিপিবদ্ধ করার কাজ শুরু হয়েছে। গুরুত্ব অনুসারে সেইসব সমস্যা মেটাতে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
জিটিএর চেয়ারম্যান অনীত থাপা বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষের প্রতিদিনের সমস্যাগুলি আগে আমরা মেটাব। পানীয় জলের সমস্যার স্থায়ী সমাধানে একটি বড় প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। পাট্টা নিয়েও সমীক্ষার কাজ ফের শুরু হবে। কাজের মাধ্যমে মানুষের মন জয় করতে চাই আমরা।’’
পাহাড়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ প্রাথমিক স্কুলে নিয়োগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জট তৈরি হয়ে রয়েছে। কয়েক বছর ধরে চলতে থাকা বেশকিছু উচ্চ প্রাথমিক স্কুলের অনুমোদন দেওয়ার দাবিতে আগেও জিটিএর পক্ষ থেকে রাজ্যের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। সেইসব সমস্যা মেটাতে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠক করেছেন বিনয়রা। অমরসিংহ রাই বলেন, ‘‘স্কুলে নিয়োগ ও স্কুলের অনুমোদন সমস্যা মিটে যাবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।’’