Duare sarkar

পেটের দায়ে যেতে পারছেন না দুয়ারে সরকার শিবিরে, মালদহে সরকারই পৌঁছল মানুষের দোরে

বিভিন্ন প্রয়োজনে দুয়ারে সরকার শিবিরে ছুটে যান মানুষ। কিন্তু সারা বছর নৌকোয় কাটানো মৎস্যজীবীরা সেখানে যেতে পারছিলেন না। তাই রাজ্য সরকারই পৌঁছে গেল ওই জেলেদের কাছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২২ ১৫:৪১
Share:

মৎস্যজীবীদের কাছে পৌঁছে সরকারি সুবিধা পৌঁছে দিলেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। — নিজস্ব ছবি।

পেটের তাগিদে সারা বছর নৌকোয় কাটাতে হয় তাঁদের। তাই এলাকায় দুয়ারে সরকার শিবির হলেও তাতে যেতে পারছিলেন না মালদহের রতুয়া-২ ব্লকের বহু মানুষ। এ বার সেই মানুষগুলোর দুয়ারেই পৌঁছল সরকার। ঘরে গিয়ে দুয়ারে সরকারের সুবিধা পৌঁছে দিলেন প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। খুশি দু’পক্ষই।

Advertisement

গত ১ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া দুয়ারে সরকার শিবিরে রাজ্য জুড়ে মৎস্যজীবীরা তাঁদের নাম নথিভুক্ত করাচ্ছেন। এ জন্য দুয়ারে সরকার শিবিরে একটি করে আলাদা কাউন্টারও করা হয়েছে। কিন্তু এক দিনের জীবিকা নষ্ট হওয়ার ভয়ে অনেকেই এই প্রকল্পে নথিভুক্ত হতে আগ্রহী হলেও শিবিরে যেতে পারছেন না। এক মৎস্যজীবীর কথায়, ‘‘আমরা দিন আনি দিন খাই। মাছ ধরাই আমাদের পেশা। এক দিন মাছ না ধরলে পারিশ্রমিক পাব না। পেট চলবে কী করে! তাই শিবিরে যেতে চেয়েও পারছিলাম না।’’ এই পরিস্থিতির সমাধানে এ বার নিজেই এগিয়ে এল সরকার। নৌকা নিয়ে ছুটলেন মহকুমা প্রশাসনের আধিকারিকরা।

শুক্রবার দিনভর রতুয়া-২ ব্লকের মির্জাতপুর, চাঁদপুর, সম্বলপুর-সহ একাধিক নদী তীরবর্তী এলাকায় মৎস্য নিবন্ধীকরণ প্রকল্পের আবেদনপত্র নিয়ে জেলেদের দোরে দোরে পৌঁছে যান চাঁচোলের মহকুমাশাসক কল্লোল রায়। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট মনোজিৎ নস্কর, রতুয়া ২ ব্লকের বিডিও নিশীথ মাহাতো-সহ প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। জেলেদের কাছে গিয়ে মৎস্য নিবন্ধীকরণ প্রকল্পের ফর্ম পূরণের পাশাপাশি তাঁদের হাতে শংসাপত্রও তুলে দেওয়া হয়। প্রশাসনের এমন ভূমিকায় খুশি মৎস্যজীবীরা।

Advertisement

এ নিয়ে চাঁচলের মহকুমাশাসক বলেন, ‘‘দুয়ারে সরকার শিবিরে চালু হয়েছে মৎস্য নিবন্ধীকরণ প্রকল্প। রতুয়া-২ ব্লকের মৎস্যজীবীরা এক দিনের জীবিকা নষ্ট করে এই শিবিরে আসতে অনিচ্ছুক। তাই প্রশাসনিক ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আমরাই তাঁদের কাছে পৌঁছব। আজ রতুয়া ২ ব্লকের একাধিক নদী ও বিল তীরবর্তী এলাকার মানুষকে প্রকল্পের সুবিধা দিতে আমরা জেলেদের কাছে গিয়েছিলাম।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement