চা বাগান খোলা উপলক্ষে শ্রমিক-কর্মচারীদের পুজোপাঠ। —নিজস্ব চিত্র।
প্রায় ন’বছর ধরে বন্ধ থাকার পর অবশেষে খুলল ডুয়ার্সের বান্দাপানি চা বাগান। এতে চা বাগানের ১,২০০ শ্রমিক-সহ তাঁদের পরিবারের প্রায় ৬ হাজার সদস্য উপকৃত হবেন বলে আশা প্রশাসনের। যদিও বিজেপির দাবি, রাজ্য সরকারের আগেই এ পদক্ষেপ করা উচিত ছিল।
সোমবার বান্দাপানি চা বাগান খোলা উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী বুলু চিক বরাইক-সহ একঝাঁক তৃণমূল নেতা। চা বাগান খোলায় স্বাভাবিক ভাবেই খুশি শ্রমিক-কর্মচারীরা। সোমবার পুজোপাঠও করেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, এই বাগানটি অধিগ্রহণ করেছে মেরিকো সংস্থা। উত্তরবঙ্গে তারা আরও আটটি বাগান অধিগ্রহণ করেছে। সম্প্রতি শিলিগুড়ির যুগ্ম শ্রম আধিকারিকের দফতরে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর চা বাগান খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ওই বৈঠকে আরও সিদ্ধান্ত হয়েছিল, শ্রমিক-কর্মচারীদের বকেয়া গ্র্যাচুইটি ২০২৪ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে জমা দেওয়া হবে। এ ছাড়া, শ্রমিকদের বকেয়া বোনাসের কিছুটা বাগান খোলার আগেই মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাগান খোলার এক মাসের মধ্যে রিভিউ মিটিং করা হবে বলে জানানো হয়েছে। তাতেই সিদ্ধান্ত হবে, শ্রমিকদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের বকেয়া টাকা কী ভাবে দেওয়া হবে।
বাগান খোলা হলেও রাজ্য সরকারকে বিঁধেছে বিজেপি। দলের বিধায়ক মনোজ টিগ্গার অভিযোগ, ‘‘বাগান খোলায় খুশি শ্রমিকেরা। দীর্ঘ আট বছর ধরে রাজ্য সরকার কিছু করেনি। এটি আগেই খোলার দরকার ছিল।’’