৯২ বছর বয়সে প্রয়াত মনমোহন সিংহ। —ফাইল চিত্র।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের প্রয়াণে সাত দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করল কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার রাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের যুগ্মসচিব জি পার্থসারথি দেশের সকল মুখ্যসচিব এবং অন্য উচ্চপদস্থ আমলাদের এই মর্মে চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে বলা হয়েছে মনমোহনকে শ্রদ্ধা জানাতে বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) থেকে বুধবার (১ জানুয়ারি) পর্যন্ত দেশে ‘জাতীয় শোক’ চলবে। ‘জাতীয় শোক’ ঘোষণা হওয়ার অর্থ, এই সময় দেশের সর্বত্র জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে এবং সরকারি স্তরে কোনও বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান হবে না।
অন্য দিকে, কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী শনিবার মনমোহনের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। বৃহস্পতিবার রাতে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কেসি বেণুগোপাল জানান, শনিবার নয়াদিল্লিতে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহনের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে শীঘ্রই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন বেণুগোপাল। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মরদেহ শুক্রবার তাঁর মতিলাল নেহরু মার্গের বাসভবনে থাকবে। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, সাধারণ মানুষও শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন মনমোহনকে।
শুক্রবার সকাল ১১টায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে বসার কথা। তার পরেই আনুষ্ঠানিক ভাবে ‘জাতীয় শোক’ ঘোষণা করা হতে পারে। সূত্রের খবর, শুক্রবার সমস্ত সরকারি কর্মসূচিও বাতিল করতে চলেছে কেন্দ্র। মনমোহনের প্রয়াণে কংগ্রেস সাত দিনের জন্য সব দলীয় কর্মসূচি বাতিল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কর্নাটক সরকার ইতিমধ্যে সাত দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে। কর্নাটক মুখ্যমন্ত্রীর দফতরকে উদ্ধৃত করে এএনআই জানিয়েছে, শুক্রবার সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে সে রাজ্যের সরকার। সংবাদ সংস্থাটি আরও জানিয়েছে যে, বাম শাসিত কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন রাজ্যের সব জেলাশাসককে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫১ মিনিটে দিল্লির এমস হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ২০০৪ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে থাকা মনমোহন। বর্ষীয়ান এই রাজনীতিক এবং অর্থনীতিবিদ বয়সজনিত নানা অসুস্থতায় ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার মনমোহনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে প্রয়াত হন তিনি।