সুনসান: জলপাইগুড়ি কদমতলা মোড়। বুধবার সন্ধেয়। নিজস্ব চিত্র
রাজ্যের নির্দেশে উত্তরবঙ্গে যে কয়েকটি শহরে পূর্ণ লকডাউনের ঘোষণা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে জলপাইগুড়িও। মঙ্গলবার নবান্ন থেকে নির্দেশিকা জারি হওয়ার পরপরই বুধবার থেকে লকডাউন করার প্রস্তুতি নিতে শুরু করে জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন।
এ দিন বিকেল পাঁচটা থেকে শহরে চালু হয় লকডাউন। তার জন্য সকাল থেকেই শহরের রাস্তায় শুরু হয় মাইকিং, বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে লকডাউন সংক্রান্ত প্রচার করা হয়। কিন্তু তারপরেও রাস্তাঘাটে লোকজন বেরিয়েছিলেন, খোলা হয়েছিল দোকানও। এই পরিস্থিতি দেখে আসরে নামে পুলিশবাহিনী। বিকেল পাঁচটার পরেও শহরের রাস্তায় কিছু কিছু জায়গায় ভিড় দেখা যাওয়ায় তাঁদের সতর্ক করা শুরু করে পুলিশ।
জলপাইগুড়ি শহরের প্রায় সব রাস্তাতেই বুধবার বিকেল পাঁচটার পরে টোটো, রিকশা, চার চাকা গাড়ি যাতায়াত করতে দেখা যাচ্ছিল। মাইকিং করেও কোনও কাজ হচ্ছিল না। পরিস্থিতি সামলাতে র্যাফকে সঙ্গে নিয়ে এ দিন সন্ধেয় পথে নামে কোতোয়ালি থানার পুলিশ আধিকারিকেরা। প্রথমদিন খুব কড়া ভূমিকায় দেখা যায়নি পুলিশকে। তবে যেখানেই নিয়ম ভাঙতে দেখা গিয়েছ, সেখানে সতর্ক করেছে পুলিশ। দোকান খোলা থাকায় কড়া হাতে ব্যবসায়ীদের বলে দোকান বন্ধ করানো হয়। লকডাউনে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান ছাড়া বাকি দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ রয়েছে। সেসব মানার জন্য পথচারী, ব্যবসায়ীদের সচেতনও করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছেন, বিনা কারণে রাস্তায় বের হওয়া যাবে না। বাজারগুলিতে একসঙ্গে ভিড় করা যাবে না। মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। প্রশাসনের নির্দেশ যে অমান্য করবে তাঁর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে পুলিশের তরফে। পুলিশের রাস্তায় নামার পরপরই শহরের প্রায় সব দোকান সাতটার পরে বন্ধ হয়ে যায়।
জেলা পুলিশ সুপার অভিষেক মোদী বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের নির্দেশে ফের লকডাউন শুরু হল আজ থেকে। ১৯ জুলাই পর্যন্ত চলবে। পুলিশ শহরে নজরদারি করছে। নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ছাড়া সব দোকান বন্ধ থাকবে। মাইকিং চলছে। শহরবাসীকে সর্তক করা হচ্ছে।’’