প্রতিবাদী: পুরসভায় ‘দুর্নীতি’ নিয়ে অবস্থানে আশিস দত্ত। নিজস্ব চিত্র
দিন কয়েক আগেই গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন আলিপুরদুয়ার পুরসভার প্রাক্তন তৃণমূল চেয়ারম্যান আশিস দত্ত। আর সোমবার সেই আশিসের সামনেই তাঁর আমলে পুরসভার দুর্নীতি নিয়ে সরব হল বিজেপি। একই মঞ্চে দাঁড়িয়ে সেই দুর্নীতির কথা অবশ্য স্বীকার করে নেন আশিস নিজেও। তবে এ জন্য তাঁর আমলে পুরসভার অন্যান্য কাউন্সিলরদের একাংশকেই দায়ি করেছেন তিনি। যা শুনে দলের প্রাক্তন পুর চেয়ারম্যানকে আবার কড়া ভাষায় আক্রমণ করতে ছাড়েনি তৃণমূলের নেতারাও।
সোমবার আলিপুরদুয়ারে তৃণমূল পরিচালিত বিগত পুরবোর্ডের দুর্নীতি ও নির্বাচন না করিয়ে পুরসভায় প্রশাসকমণ্ডলী বসানো নিয়ে অবস্থানের ডাক দেয় বিজেপি। অবস্থানে দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক সুমন কাঞ্জিলাল, টাউন মন্ডল সভাপতি বিকাশ দে উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রাক্তন পুর চেয়ারম্যান। বিজেপির শীর্ষ নেতারা আশিসের সামনেই জলাভূমি ভরাট, সরকারি খাস জমি দখল, ‘সবার জন্য বাড়ি’ প্রকল্পের ঘর তৈরি সহ তাঁর আমলে পুরবোর্ডের দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হন।
তবে আশিস অবশ্য বলেন, “আমি দুর্নীতি করিনি। কিন্তু পরে শুনেছি, আমার আমলে কোনও কোনও কাউন্সিলর দুর্নীতি করেছেন। তাছাড়া বিজেপির তরফে এ দিন সব আমলের দুর্নীতির কথাই বলা হয়েছে।” যা শুনে আশিসকে আবার পাল্টা আক্রমণ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। টাউন ব্লক সভাপতি দীপ্ত চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, আশিস দত্তের আমলে তাঁর নির্দেশেই একাধিক জলাভূমি দখল হয়েছে। সরকারি জমিও দখল হয়েছে। তাঁর কথায়, “পুরসভায় কোনও দুর্নীতি হলে তার দায় কোনও ভাবেই চেয়ারম্যান এড়াতে পারেন না। তাই আশিস দত্ত চেয়ারম্যান থাকাকালীন পুরসভায় কোনও দুর্নীতি হয়ে থাকলে তাঁর দায় তাকেই নিতে হবে।” যদিও অন্য কাউন্সিলরদের দুর্নীতির দায় অবশ্য নিজের কাধে নিতে চাননি আশিস।
এদিনের অবস্থান থেকে বিজেপির তরফে অভিযোগ তোলা হয়, পুরসভার এক অস্থায়ী কর্মীকে নিজের গাড়ির চালক হিসেবে রেখেছেন দীপ্ত। যার বেতন মেটাচ্ছে পুরসভা। সেই অভিযোগ অস্বীকার করে দীপ্ত পাল্টা বলেন, “পুরসভার কাজ শেষ করেই ওই চালক আমার গাড়ি চালান। সে জন্য তাঁকে আমিও মাইনে দিই। তা ছাড়া আমার গাড়ির চার-পাঁচজন চালক রয়েছেন।”