সিকিমের চুংথাং এলাকার এই ড্যাম প্রোজেক্ট ভেঙেই ঘটেছে বিপত্তি। ছবিঃ নিজস্ব চিত্র।
প্রবল বৃষ্টিতে শিলিগুড়ি থেকে সিকিম পর্যন্ত ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক তিন জায়গায় ধসে তিস্তায় চলে গিয়েছে। এখন বিকল্প পথ বলতে শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিংয়ের রাস্তা ধরে ঘুরপথে গ্যাংটক। শিলিগুড়ি থেকে গরুবাথান, লাভা, রংপো হয়েও অল্প কিছু গাড়ি গ্যাংটক যাতায়াত করছে।
এই অবস্থায় গাড়িভাড়া আকাশছোঁয়া। কারণ, সাড়ে চার ঘণ্টার পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে ন’ঘণ্টায়। বুধবার নিউ জলপাইগুড়ি (এনজেপি) থেকে বেশ কিছু গাড়ি দার্জিলিং হয়ে এবং গরুবাথান হয়ে গ্যাংটকের দিকে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন এনজেপি গাড়ি ইউনিয়নের নেতা উদয় সাহা। তিনি বলেন, ‘‘বুধবার যে গাড়িগুলি গিয়েছে, তারা রাতে আর ফিরতে পারবে না। চালকদের বৃহস্পতিবার যাত্রী নিয়ে ফিরতে হবে।’’ শিলিগুড়ি থেকে গ্যাংটক পর্যন্ত ওই রাস্তাগুলিতে এখনও কোনও ধসের খবর নেই বলেই জেলা প্রশাসনগুলি সূত্রে খবর। তবে প্রবল বৃষ্টিতে যখন-তখন যে কোনও রাস্তা ধসে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল। সূত্রের খবর, এনজেপি থেকে বেশ কিছু পর্যটক এর মধ্যেও গ্যাংটক যাওয়ার জন্য চালকদের চাপাচাপি করছেন। তাঁদের আগে থেকে হোটেলে ‘বুকিং’ রয়েছে। যদিও গ্যাংটক থেকে উত্তর সিকিমের লাচুং, লাচেন, মঙ্গন, গুরুদংমার হ্রদের দিকে যাওয়া যাচ্ছে না। বন্ধ রয়েছে পশ্চিম সিকিম। কেবলমাত্র গ্যাংটক থেকে জওহরলাল নেহরু রোড ধরে না থুলার দিকে এবং বাবামন্দির পর্যন্ত যাওয়া যাচ্ছে বলে পর্যটন সংস্থা সূত্রে খবর। অনেকটা ঘুরপথে সিকিম থেকে একটি-দু’টি গাড়ি এসে পৌঁছচ্ছে শিলিগুড়িতে। সিকিমের বেশির ভাগ রাস্তা বন্ধ বলে সিকিম প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে।
সিকিম প্রশাসন সূত্রে খবর, এখনও প্রবল বৃষ্টি চলছে ওই এলাকায়। আগামী আরও কয়েক দিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে, রাস্তা মেরামত করতে সময় লাগবে বলেই মনে করা হচ্ছে।