TMC

অর্পিতাকে সরিয়ে পদে নয়া নেতা

বৃহস্পতিবার মমতা এই ঘোষণা করতেই জেলাজুড়ে তৃণমূলের অন্দরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া গৌতমের মতো ‘নবাগত’ নেতা জেলায় দলের সংগঠন কতটা শক্তিশালী করতে পারবেন, তা নিয়ে দলের অন্দরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

Advertisement

নীহার বিশ্বাস

বুনিয়াদপুর শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২০ ০৬:২৭
Share:

অর্পিতা ঘোষ। ফাইল চিত্র

২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে দক্ষিণ দিনাজপুরে দলের সংগঠনে বড় রদবদল করলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের রাজ্যসভা সাংসদ অর্পিতা ঘোষকে জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে কার্যকরী সভাপতি গৌতম দাসকে সেই দায়িত্ব দিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার মমতা এই ঘোষণা করতেই জেলাজুড়ে তৃণমূলের অন্দরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া গৌতমের মতো ‘নবাগত’ নেতা জেলায় দলের সংগঠন কতটা শক্তিশালী করতে পারবেন, তা নিয়ে দলের অন্দরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
গত লোকসভা নির্বাচনের পরে তৃণমূলের জেলা সভাপতি হিসেবে অর্পিতাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন মমতা। তাঁকে সেই পদ থেকে অপসারিত করা নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে। দলীয় সূত্রে খবর, রাজ্যসভার সাংসদ হওয়ার পরে অর্পিতা নিজেই জেলার দায়িত্ব ছাড়তে চাইছিলেন। বিভিন্ন বিষয়ে জেলায় দলের নেতাদের একাংশের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় এবং প্রতিটি ক্ষেত্রেই জেলা সভাপতি হিসেবে তার দায়ভার নিতে হওয়ায় ‘বিব্রত’ হচ্ছিলেন তিনি। সে কারণে শীর্ষ নেতৃত্বকে পদ ছাড়ার আর্জিও করেছিলেন। তাই অর্পিতাকে দলের রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটিতে নিয়ে গিয়ে তাঁর জায়গায় গৌতমকে দায়িত্ব দেওয়া হল বলে মনে করছে দলের নেতাদের একাংশ।
অর্পিতা বলেন, ‘‘দল যখন যা দায়িত্ব দিয়েছে, পালন করেছি। এখন রাজ্যের কো-অর্ডিনেশন কমিটিতে নেওয়া হয়েছে। সেই নিরিখে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সংগঠনের শক্তি বাড়াতেও সাহায্য করব। আশা করব গৌতম দলের সবাইকে নিয়ে কাজ করবে।’’
কিন্তু জেলা সভাপতি পদে গৌতমের ‘অভিষেক’ নিয়ে দলের অন্দরে চর্চা ছড়িয়েছে। দলীয় নেতাদের একাংশের বক্তব্য, তৃণমূলের পুরনো, সক্রিয় নেতাদের বাদ দিয়ে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া বিধায়ক গৌতমকে সকলে না-ও ‘মানতে’ পারেন। এতে শক্তিবৃদ্ধির পরিবর্তে সংগঠন দুর্বল হতে পারে বলে তাঁদের আশঙ্কা। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক তৃণমূল নেতা বলেন, ‘‘যিনি খাতায় কলমে এখনও কংগ্রেসের বিধায়ক, যিনি তৃণমূল দলকেই এখনও চিনতে পারলেন না, যিনি দলের সংগঠনই বুঝলেন না তাঁর মতো নবাগত নেতাকে দায়িত্ব দেওয়ার মানে হচ্ছে জেলায় তৃণমূলকে বিজেপির হাতে তুলে দেওয়া।’’
এ নিয়ে গৌতমের বক্তব্য, ‘‘বড় পরিবারে ছোটখাট সমস্যা থাকেই। তৃণমূলও বড় পরিবার। সবাই সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে সব সমস্যা কাটিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাব। মাথার উপরে চেয়ারম্যান হিসেবে শঙ্কর চক্রবর্তী রয়েছেন, অর্পিতাদি রয়েছেন। সবার পরামর্শ মেনে কাজ করব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement