প্রতীকী ছবি।
মিহির গোস্বামী দলত্যাগ করেছেন। আর-এক বিধায়ক ময়নাগুড়ির অনন্তদেব অধিকারী পিকে টিমের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সরব হয়েছেন। ঠিক এই সময়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন কোচবিহারে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের আর-এক বিধায়ক। বৃহস্পতিবার, কোচবিহার শহরে পূর্ত দফতরের বাংলোয় জেলার কোর কমিটির সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। ওই বৈঠক থেকে বেরোনোর পরে শাসক দলের ওই বিধায়ক বলেন, “কলকাতা থেকে এক ভদ্রলোক এসেছিলেন। তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম।” আপনার পরবর্তী কর্মসূচি কী? জিজ্ঞেস করতেই তিনি বলেন, “দিল্লি যাওয়ার কথা রয়েছে।” এর পরে তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে যান।
দিন কয়েক আগে দিনহাটায় এক মিটিংয়ে বিধায়ক তথা তৃণমূলের কোচবিহার জেলার কো-অর্ডিনেটর উদয়ন গুহ বলেছিলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী গেলে তিনিও দিল্লি যেতে পারেন।’ তিনিও ও দিন কোর কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। শুক্রবার উদয়ন বলেন, “বিজেপিতে যাচ্ছেন, এমন তো আর কেউ বলেনি। বিজেপি কী বলছে জানি না। ওদের কথার কোনও গুরুত্ব নেই।”
বৃহস্পতিবার ওই বৈঠকে ছিলেন সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশ বসুনিয়াও। তিনি বলেন, “বিজেপি মনগড়া কথা বলে মিথ্যাচার করছে। তৃণমূল থেকে আর কেউ বিজেপিতে যাবেন না। তাই কে, কী বলছে গুরুত্ব দিচ্ছি না।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলায় দলের এক শীর্ষনেতা বলেন, “ওই বৈঠকে সুব্রত বক্সি সবাইকে নিয়ে চলার বার্তা দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর জনসভার দায়িত্বও ভাগ করে দিয়েছেন। তা নিয়েই একজন ঊষ্মা প্রকাশ করেন। তার জেরেই এমন কথা বলে থাকতে পারেন।”
কোচবিহার জেলায় ন’টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ২০১৬ সালের নির্বাচনে আটটি আসন দখল করে তৃণমূল। তার মধ্যে কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক মিহির বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। বাকি সাত জন এখনও তৃণমূলেই রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে জেলার এক বিধায়ক, দিল্লি যাওয়ার ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা দিলেন। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধায়ক ফজলে করিম মিয়াঁ ছাড়া বাকি সব বিধায়কই সুব্রত বক্সির সঙ্গে সে দিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে বৈঠক চলে। শেষমুহূর্তে পৌঁছন অর্ঘ্যরায় প্রধান। তৃণমূলের জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।