—ফাইল চিত্র।
একদিন আগেই কোচবিহারে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সভা করেছেন। তাঁর পরেও দলে দ্বন্দ্ব কমার কোনও ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে না। এর মধ্যে শুভেন্দু অধিকারীর পথে হাঁটবেন বলে দাবি করলেন এক নেতা।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে যুব তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সহ সভাপতিদের একজন নীতীশ সরকার জানিয়েছেন, তিনি শুভেন্দু অধিকারির সঙ্গেই থাকবেন। তিনি দাবি করেন, জেলাতে আরও অনেক ‘দাদার অনুগামী’ রয়েছেন।
কোচবিহার পুরসভার প্রশাসক তৃণমূল নেতা ভূষণ সিংহ বুধবার রাত থেকেই তাঁর ক্ষোভের কথা জানাতে শুরু করেন। তাঁর প্রধান অভিযোগ ছিল, তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর মঞ্চে ঊঠতে দেওয়া হয়নি। এ জন্যে তিনি দলের কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। এ দিন তিনি আরও অভিযোগ করেন, তাঁকে না জানিয়ে কোচবিহার পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীতে তিনজনের নাম যুক্ত করা হয়েছে। সেক্ষেত্রেও তাঁর জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ। তিনি বলেন, “আমি তৃণমূলেই আছি। তৃণমূলেই থাকব। যদি ঘর থেকে জোর করে বের করে দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে অন্য ঘরে যাওয়ার কথা ভাবব।” দলের মধ্যে গুঞ্জন রয়েছে, দলের প্রথমসারির একাধিক নেতার গতিবিধিও ঠিক নেই।
এসব সামলাতে ঘুম উড়েছে টিম পিকের। একটু সন্দেহ মনে হলেই, পিকে সদস্যরা ছুটছেন বাড়ি বাড়ি। অবশ্য কেউই প্রকাশ্যে কিছু বলতে চাননি। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় ওই বিষয়ে কিছু বলতে চাননি। তিনি বলেন, “দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে দলের মধ্যেই আলোচনা করব। এই বিষয়ে বাইরে কিছু বলব না।” তৃণমূলের কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল আহমেদ বলেন, “আলোচনার মাধ্যমে সব মিটে যাবে।”
শুধু তাই নয়, কোচবিহার জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা তৃণমূল নেতা উমাকান্ত বর্মণকে মুখ্যমন্ত্রীর মঞ্চের জায়গা দেওয়া হয়নি বলে দলেরই একটি অংশ অভিযোগ তোলেন। সভাধিপতি অবশ্য বলেন, “এটা পুরোপুরি দলের বিষয়। দল যা সিদ্ধান্ত নেবে আমি তাঁকেই মান্যতা দিই। কেউ কেউ অসন্তোষের কথা জানিয়েছেন। আমি তাঁদেরকেও এক কথা বলেছি।”
বিধায়ক মিহির গোস্বামী দল ছেড়েছেন। এবারে শুভেন্দু অধিকারী দলের প্রাথমিক সদস্যপদ ছাড়তেই দাদার অনুগামীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। দলের এক নেতা বলেন, “মুখেই কেবল ঐক্যের কথা হচ্ছে। কাজে কেউ তা করছেন না। সেটাই চিন্তার হয়ে দাঁড়াচ্ছে।”