দার্জিলিং পুরসভা জয় অনীত থাপাদের।
গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ)-এর বোর্ড গঠনের বছরেই আরও একটি পালক জুড়ল অনীত থাপার মুকুটে। বুধবার হামরো পার্টিকে হারিয়ে দার্জিলিং পুরসভায় আস্থাভোট জিতে নিল অনীতের ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা। অনীতের পাশে দাঁড়িয়েছেন পাহাড়ের দুই তৃণমূল কাউন্সিলরও। ক্ষমতা হারিয়ে জিটিএ-র মতো দার্জিলিং পুরসভাতেও প্রধান বিরোধী দলের আসনে বসল অজয় এডওয়ার্ডের হামরো পার্টি।
দার্জিলিং পুরসভায় মোট ৩২টি আসন। তার মধ্যে ১৮টি আসনে জিতে বোর্ড দখল করেছিল হামরো পার্টি। অন্য দিকে, অনীতের প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা ৯টি, তৃণমূল ২টি, বিমল গুরুংয়ের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা জিতেছিল ৩টি আসনে। যদিও এর পরে জিটিএ ভোটে লড়ার জন্য প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার এক কাউন্সিলর ইস্তফা দেন। সেই আসনে এখনও ভোট হয়নি। ফলে, কাউন্সিলরের সংখ্যা কমে হয় ৩১। সম্প্রতি হামরো পার্টির ৫ কাউন্সিলর যোগ দিয়েছেন প্রজাতান্ত্রিক মোর্চায়। তাতে অনীতের দলের কাউন্সিলরের সংখ্যা বেড়ে হয় ১৪। এর মধ্যে তৃণমূলের তরফে জানানো হয়, প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সঙ্গে মিলে তারা পুরবোর্ড গঠন করবে। বুধবারের আস্থাভোটে ৩১ জনের মধ্যে ১২ জন কাউন্সিলর সমর্থন করেছে হামরো পার্টিকে। তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে গুরুংয়ের দলের ৩ কাউন্সিলরও। অন্য দিকে, তৃণমূলের ২ কাউন্সিলর এবং প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার ১৪ জন কাউন্সিলর মিলে অনীতকে সমর্থন জানিয়েছেন। সেই অঙ্কেই এ বার দার্জিলিং পুরসভার দখল নিল প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা। অন্য দিকে, ১৫ কাউন্সিলর নিয়ে প্রধান বিরোধী আসনে অজয়ের হামরো পার্টি।
গত কয়েক দিন ধরেই রাজনৈতিক উত্তাপে ফুটছিল পাহাড়। বিষয়টি পৌঁছয় আদালতেও। অনাস্থা আটকাতে হাই কোর্টের সার্কিট বেঞ্চেও গিয়েছিল হামরো পার্টি। কিন্তু দার্জিলিং পুরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দিতে রাজি হয়নি আদালত। উচ্চ আদালতের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, হামরোর পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনায় কোনও বাধা নেই। এর পরেই পাহাড়ে বদলে গেল সমীকরণ।