কেন্দ্রের নির্দেশ অনুযায়ী, ৬০ বছরের বেশি বয়সিদের জন্য প্রথম, দ্বিতীয় ছাড়াও তৃতীয় বা বুস্টার টিকা নিতেও খরচ করতে হবে না। প্রতীকী ছবি।
দিল্লির কোনও সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা হাসপাতালে বিনামূল্যের কোভিড টিকা নেই। অথচ রাজধানীর বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলিতে আগামী কয়েক দিনের জন্য এই টিকা পাওয়া যাচ্ছে। যদিও তা বিনামূল্যে নয়। প্রতি টিকার জন্য খরচ করতে হবে প্রায় ৪০০ টাকা। এই তথ্য জানাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের কোউইন অ্যাপ।
কেন্দ্রের নির্দেশ অনুযায়ী, দেশের সমস্ত সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে কোভিডের প্রথম ও দ্বিতীয় টিকা বিনামূল্যে পাওয়া যাবে। তবে ৬০ বছরের বেশি বয়সিদের জন্য প্রথম, দ্বিতীয় ছাড়াও তৃতীয় বা বুস্টার টিকা নিতেও খরচ করতে হবে না।
সংবাদমাধ্যমের দাবি, বুধবার কোউইন অ্যাপে কোভিড টিকার নিয়ে অনুসন্ধান চালানো হলে দেখা যাচ্ছে, উত্তর থেকে দক্ষিণ— দিল্লির কোনও সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে বিনা পয়সার টিকা নেই। অথচ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতে স্বল্প সংখ্যক টিকা পাওয়া যাচ্ছে। যেমন, মধ্য দিল্লির বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতে টিকাকরণের জন্য ১৩টি স্লট খালি রয়েছে। পূর্বে ৬টি এবং দক্ষিণ-পূর্বে ২৯টি এমন স্লট মিলছে।
চিনের মতো করোনাভাইরাসের উপরূপ ‘বিএফ.৭’-এর সংক্রমণ যাতে এ দেশেও ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে দেশবাসীকে বুস্টার টিকা নেওয়ার জন্য পরামর্শ দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে খাস রাজধানীর সরকারি প্রতিষ্ঠানেই কেন অমিল সেই টিকা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
কেন্দ্রীয় সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, টিকা নেওয়ার যোগ্যতামানের নিরিখে দেশের ৯০ শতাংশ বাসিন্দাই কোভিডের ২টি টিকা নিয়েছেন। তার মধ্যে এখনও পর্যন্ত দিল্লির ২০ শতাংশ এবং সারা দেশে ৩০ শতাংশের কম বাসিন্দার বুস্টার টিকাকরণ হয়েছে। এই আবহে চিনে নতুন করে কোভিডের বিস্ফোরণে এ দেশেও সংক্রমণ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে রাজধানীর সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতে টিকা অমিল হলে বিপাকে পড়বেন বহু নিম্ন আয়ের মানুষজন। কারণ, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এক-একটি টিকার দাম পড়বে ৩৮৬.২৫ টাকা।