মালদহে আত্মঘাতী যুবক। প্রতীকী ছবি।
নাবালিকা ‘স্ত্রী’র বিয়ের ঠিক হয়েছে অন্যত্র। সেই খবর পেয়ে আত্মঘাতী হলেন এক তরুণ। এই ঘটনা মালদহের মানিকচক থানার চৌকি মীরজাতপুর অঞ্চলের পঁচিশা গ্রামের। বিষয়টি নিয়ে নাবালিকার পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে ওই তরুণের পরিবার। যদিও বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ ওই নাবালিকার পরিবার।
বুধবার সকালে নিজের ঘরে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার হয় পঁচিশা গ্রামের বাসিন্দা সঞ্জয় ঘোষ (২২)-এর ঝুলন্ত দেহ। ঘটনাস্থলে গিয়ে মানিকচক থানার পুলিশ সঞ্জয়ের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এই ঘটনার জেরে শোকের ছায়া নেমেছে এলাকায়।
সঞ্জয়ের দাদা সূরজ ঘোষের বক্তব্য, ‘‘আমার ভাই ওই মেয়েটিকে ভাসবাসত। ওরা পালিয়ে গিয়ে বিয়েও করেছিল। এর পর মেয়েটির পরিবার পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে। আমার ভাই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে। এ নিয়ে মামলাও চলছিল। মাস তিনেক জেলে ছিল। পরে জামিনে মুক্তি পায়। এর পর এক দিন আচমকা ওই মেয়েটি আমাদের বাড়িতে চলে আসে। ওর বাড়িতে বিষয়টি জানানো হয়। খবর পেয়ে মেয়েটার বাবা এবং মামা ওকে বাড়ি থেকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে চলে যায়। এর মাঝেই আচমকা আমার ভাই জানতে পারে, ওই মেয়েটির বিয়ের ঠিক হয়েছে। তার পর ও গতকাল আত্মহত্যা করেছে।’’
এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি নাবালিকার পরিবার। বিষয়টি এখন বিচারাধীন বলে জানিয়েছেন ওই পরিবারের সদস্যরা।