মাদ্রাসার ভোটে পুলিশি চিঠি ঘিরে বিতর্ক হরিশ্চন্দ্রপুরে। নিজস্ব চিত্র।
মাদ্রাসা পরিচালন সমিতির নির্বাচনে পুলিশি হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠল মালদহে। ‘প্রয়োজনীয় সংখ্যায় পুলিশ কর্মীর অভাব রয়েছে’ অজুহাত দিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নম্বর ব্লকের মশালদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের তালগাছি সিনিয়র মাদ্রাসার পরিচালন সমিতির নির্বাচন পুলিশ পিছিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনার জেরে শাসক দলকে নিশানা করেছে বিরোধী কংগ্রেস-বাম জোট। যদিও তৃণমূলের তরফে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, রবিবার ছিল মাদ্রাসা পরিচালন সমিতির নির্বাচন। তার প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছিল। সম্পূর্ণ হয়েছিল মনোনয়ন প্রক্রিয়া। কিন্তু ‘নির্বাচনে পর্যাপ্ত পুলিশকর্মী দেওয়া সম্ভব নয়’ জানিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় আইসি লিখিত চিঠি দেন তালগাছি সিনিয়র মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে। নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ারও ‘নির্দেশ’ দেওয়া হয় ওই চিঠিতে। এর পরেই বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছে, প্রশাসনের মদতে ভোট করতে চাইছে শাসকদল। বিরোধীদের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি শাসক দল তৃণমূলের।
শুক্রবার এই নির্বাচন নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। বৈঠক চলাকালীনই আইসির ওই চিঠি মাদ্রাসার টিআইসি-কে পাঠানো হয়। জানানো হয় ওই দিনে নির্বাচন করালে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব হবে না। কারণ, স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ-প্রশাসনের সমস্ত আধিকারিকরা ব্যস্ত থাকবেন। তাই রবিবারের বদলে অন্য কোনও দিনে ভোটের আয়োজনের হয় ওই চিঠিতে।
ওই চিঠির পরেই বিতর্ক দানা বাঁধে। স্থানীয় কংগ্রেস নেতা তথা প্রদেশ যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান চৌধুরীর অভিযোগ হারের ভয়ে এমনটা করেছে শাসকদল। যদিও তৃণমূল নেতা তথা হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ মণিরুল আলম বিরোধীদের অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলেছেন।