প্রতীকী ছবি।
দল কি আরও ভাঙবে? আলিপুরদুয়ারে সেই প্রশ্নই ছড়িয়েছে তৃণমূল শিবিরে। দলের অন্দরমহলের কানাঘুষো, প্রাক্তন সাংসদ দশরথ তিরকে ও প্রাক্তন পুর চেয়ারম্যান আশিস দত্তের পরে জেলায় দলের নেতা-জনপ্রতিধিদের কেউ কেউ শুভেন্দু অধিকারী শিবিরের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে রবিবার বিকেলে দলের কোর কমিটির বৈঠকে বসেন জেলা তৃণমূল নেতারা। সেই বৈঠকে মান-অভিমান দূরে সরিয়ে রেখে দলের বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে বেশি করে যোগাযোগ রাখার বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
দলের নেতাদের একাংশের বক্তব্য, গত বছর লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর থেকেই আলিপুরদুয়ারে তৃণমূলের অন্দরে নতুন করে ‘কোন্দল’ দানা বাঁধতে শুরু করে। সময় যত এগিয়েছে, ততই তা বেড়েছে। অক্টোবরে জেলা কমিটি ঘোষণা হওয়ার পর জেলায় বিভিন্ন জায়গায় কার্যত দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে নেমে পড়েন নেতাদের একাংশ। কেউ কেউ প্রকাশ্যেই পদ ও দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন। কেউ আবার দলের যাবতীয় কর্মসূচি থেকে সরে যান। এরইমধ্যে শুভেন্দুর সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব বাড়তে থাকে। তার পরেই তৃণমূল ছাড়ার কথা ঘোষণা করে শুভেন্দুর সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা প্রকাশ্যেই জানিয়ে দেন আলিপুরদুয়ার পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান আশিস দত্ত ও যুব তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি বাপ্পা মজুমদার।
শনিবার তাঁদের সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ তথা দলের জেলা চেয়ারম্যান দশরথ তিরকেও। রবিবারও দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘নামেই আমাকে দলের চেয়ারম্যান করে রাখা হয়েছিল। সম্মান পাচ্ছিলাম না। তাই বিজেপিতে যোগ দিয়েছি।’’
তৃণমূল সূত্রে খবর, এই মান-অভিমান থেকেই দলের বিক্ষুব্ধদের কেউ কেউ শুভেন্দু-শিবিরের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে শুরু করেছেন। তা চিন্তায় ফেলেছে তৃণমূলের জেলা শীর্ষ নেতাদের একাংশকে। তৃণমূল সূত্রে খবর, রবিবার দলের কোর কমিটির বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। জানুয়ারি মাসে আলিপুরদুয়ারে বড় কোনও জনসভা করা যায় কিনা সেই বিষয়েও কথা হয়। বৈঠক শেষে জেলা তৃণমূল সভাপতি মৃদুল গোস্বামী বলেন, ‘‘বৈঠকে দলত্যাগীদের নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। কারা কাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, তা নিয়েও কথা হয়নি।’’