রাজগঞ্জ ব্লকের চাউলহাটির সদয় দে-র বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি অবৈধভাবে মদ বিক্রি করতেন। বুধবার গভীর রাতে তাঁর বাড়িতে যান স্থানীয় ভাঙামালি ফাঁড়ির পুলিশকর্মী অনুকূল রায়। অভিযোগ, তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করেন সদয়। তাঁকে বাঁচাতে এসে কাছের একটি ব্যাঙ্কের নিরাপত্তা কর্মীও। গোলমালের খবর পেয়ে ফাঁড়ি থেকে আরও পুলিশ আসে। স্থানীয়দের দাবি, মদ বিক্রেতাকে আটকাতে পুলিশ শূন্যে কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। যদিও সে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্তারা। জখম পুলিশ ও নিরাপত্তা রক্ষীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মদ বিক্রেতা পলাতক।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সদয়ের বাড়িতে প্রায়ই যাতায়াত করতেন অনুকূল। সে দিনও বেশ রাত করে গিয়েছিলেন তিনি। কেন গিয়েছিলেন, তা নিয়ে কোনও স্পষ্ট জবাব দিতে পারেনি পুলিশ। স্থানীয়দের অভিযোগ, দু’জনের মধ্যে কোনও বোঝাপড়া থাকতে পারে। তাঁদের আরও দাবি— হতে পারে, সে দিন বোঝাপড়ার অভাব থেকেই অনুকূলকে আক্রমণ করেছিলেন সদয়। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, রাতে হঠাৎ চিৎকার শুনে বার হয়ে আসেন আশপাশের লোকজন। তাঁদের অনেকেরই বক্তব্য, সেই সময়ে সদয় অনুকূলকে ধারালো অস্ত্র হাতে তাড়া করেছিলেন। সম্ভবত তার আগেই কোপ বসিয়েছিলেন বলে দাবি অনেকের। এই অবস্থায় কেউই কাছে যেতে চাইছিলেন না। অনুকূলকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন স্থানীয় ব্যাঙ্কের এক নিরাপত্তা রক্ষী। অভিযোগ, তাঁকেও জখম করেন সদয়। তার পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ আসে। তারাও সদয়কে বাগে আনতে পারছিল না বলেই খবর। তখন শূন্যে গুলি ছোড়া হয় বলেও স্থানীয়দের দাবি।
পুলিশ সূত্রে খবর, পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার পরে দু’জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সদয় পলাতক। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শ্রীকান্ত জগনাথারাও ইলওয়াড বলেন, ‘‘চাউলহাটিতে পুলিশের উপর আক্রমণ হয়েছে। দু'জনের চিকিৎসা চলছে। গুলি চালানো হয়েছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্ত পলাতক খোঁজ চলছে।’’ অনুকূল কেন এত রাতে সদয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন, তার জবাবে পুলিশ সূত্রে বলা হয়েছে, তদন্ত চলছে।