প্রতীকী ছবি।
আবাস যোজনায় বাড়ি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ মিথ্যে। যে ভিডিও ভাইরাল করা হয়েছিল সেটাও মিথ্যে। এমনই পাল্টা অভিযোগ তুলে এবার অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধেই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেন বাসিন্দারা।
এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য, তাঁর স্বামী, দেওরের বদনাম করতেই এসব করা হয়েছে বলে বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই ঘটনায় তদন্তে নেমেছে প্রশাসন। হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের বিডিও অনির্বাণ বসু বলেন, ‘‘দু’পক্ষের অভিযোগই খতিয়ে দেখে আইনমাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
প্রশাসন ও পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন দিন আগে একটি ভিডিয়ো (আনন্দবাজার সেটির সত্যতা যাচাই করেনি) ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায়, গাররা এলাকার তৃণমূল নেতা গোপাল মণ্ডলের বাড়িতে এক ব্যক্তি লুঙিতে গুঁজে রাখা টাকা তুলে দিচ্ছেন। পাশে বসে রয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল সদস্যা রুমা সাহার দেওর রতন সাহা। গোপাল টাকা গুনে নিচ্ছেন।
আবাস যোজনার ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে বাড়িতে ডেকে এ ভাবেই কাটমানি নেওয়া হচ্ছে বলে ওই ভিডিয়ো নিয়ে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানান তিন ব্যক্তি। প্রত্যেকের কাছ থেকে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা কাটমানি নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগে জানানো হয়। এরপরেই শতাধিক বাসিন্দা সোমবার বিকেলে বিডিও অফিসে হাজির হয়ে ঘটনার তদন্তের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান।
রতন বলেন, আমি ব্যবসায়ী। বকেয়া পাওনা দিতে এসে গোপনে ভিডিও করে মিথ্যে অভিযোগ তুলে তা ভাইরাল করা হয়েছে। সদস্যা রুমা সাহা বলেন, ‘‘আমার স্বামীও ব্যবসায়ী। এলাকার মানুষই জানেন, আমরা কেমন। এ সব মিথ্যা ষড়যন্ত্র।’’ অভিযোগকারী দিলশাদ রাজা, মহম্মদ আজাদরাও তৃণমূল কর্মী। এদিন অবশ্য তাঁরা জানান, সব মিটে গিয়েছে। আমরা অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেব।