দার্জিলিং জেলায় জি২০ সামিট।
পাহাড়ের ঢালে চাঁদের আলোয় চা পাতা তোলা দেখানোর বিশেষ ব্যবস্থা আগেই হয়েছিল। তার সঙ্গে যুক্ত হল সাতসকালে বিদেশি প্রতিনিধিদের জন্য বিশেষ যোগ ব্যায়াম ও ‘মেডিটেশন সেশন’। তা শেষ করে প্রাতরাশের পরে, শুরু হবে ভারতের তত্ত্বাবধানে পর্যটন বিষয়ক জি ২০ সামিটের মূল আলোচনা। সরকারি সূত্রের খবর, মূলত ১ থেকে ৩ এপ্রিল এই সামিট হবে। ৪ এপ্রিল প্রতিনিধিরা সকালে বিমানে দিল্লি ফিরে যাবেন।
ভারতীয় সংস্কৃতি ও স্বাস্থ্য পরিচর্যায় যোগমুদ্রার লাভজনক ফলাফলের কথা বলা হয়। বিদেশিরা এ দেশে ‘মেডিক্যাল টুরিজ়ম’ বিষয়ে আগ্রহী হচ্ছেন। তাতে যোগ ব্যায়ামের ভূমিকা অন্যতম। বিভিন্ন তারাখচিত হোটেল, রিসর্টে জিমের সঙ্গে যোগের ‘সেশন’ যুক্ত করা হচ্ছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও যোগচর্চা করেন। সম্প্রতি জি ২০ সামিটের অনুষ্ঠান সূচি চূড়ান্ত করার সময় কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রক থেকে যোগ বিষয়টি যুক্ত করা হয়েছে। ২ এপ্রিল ওই চা পর্যটন কেন্দ্রের সুইমিং পুলের পাশে, বিশেষ ভাবে তৈরি এলাকায় ভোর সাড়ে ৬টায় যোগ ও ‘মেডিটেশন’ সংক্রান্ত ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মন্ত্রকের তরফে এর জন্য বিশেষ প্রশিক্ষকের বন্দোবস্ত করা হচ্ছে।
জি ২০ সামিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রকের এক সচিবের কথায়, ‘‘যোগ, ধ্যান বা ‘মেডিটেশন’ ভারত তথা এশিয়ায় জনপ্রিয়। নানা রোগের সুরাহা হয়। বিদেশি প্রতিনিধিরা যাতে ভোরে জঙ্গল, চা বাগান ঘেরা নির্মল সবুজের পাশে বসে মন-শরীর শান্ত ও চাঙ্গা করে নিতে পারেন, সে জন্য এই ব্যবস্থা।’’
সরকারি সূত্রের খবর, প্রতিনিধিরা ১ এপ্রিল দিল্লি থেকে চার্টাড বিমানে বাগডোগরায় আসবেন। বায়ুসেনা, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের বিশেষ ব্যবস্থায় রানওয়ে, টারম্যাক থেকে অতিথিদের অভ্যর্থনা জানানো হবে। বিমানের সিঁড়ির দু’পাশে অনুষ্ঠান হবে। তাঁরা নিউ চামটার রিসর্টে পৌঁছবেন। দুপুরে কার্শিয়াঙে গিয়ে মকাইবাড়ি বাগানে সুগন্ধি চায়ের অভিজ্ঞতা নেওয়ার পরে, সন্ধ্যায় চাঁদের আলোয় চা পাতা তোলায় যোগ দেবেন।
নৈশভোজের পরে, প্রতিনিধিরা নিউ চামটায় ফিরবেন। ২ এপ্রিল ভোরে চা পর্যটন রিসর্টে যোগ-পর্বে যোগ দেবেন। ‘হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড টুরিজ়ম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক’-এর সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘পর্যটনের সঙ্গে সংস্কৃতি, হস্তশিল্পও থাকছে। টয় ট্রেন, যোগ বা রাতের চা বাগানের কর্মসূচি এ অঞ্চলের আকর্ষণকে তুলে ধরবে।’’