গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের নেতা অনন্ত মহারাজ জানিয়েছেন, তাঁদের সংগঠনের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে রাজ্য পুলিশের নারায়ণী ব্যাটেলিয়ানে তাঁদের বাহিনী ‘নারায়ণী সেনা’র যুবকদের অগ্রাধিকারের বিষয়ে কোনও দাবি পেশ করা হয়নি।
মমতার মঞ্চে গ্রেটার নেতা অনন্ত। নিজস্ব চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাস্থলে আসার পথে সারি সারি লাইন দিয়ে স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকা পালন করেছে অনন্ত মহারাজের তরুণ অনুগামীরা। এই স্বেচ্ছাসেবকদের নামকরণ করা হয়েছে ‘নারায়ণী সেনা’। এই সেনা গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের নেতা অনন্ত মহারাজের আদেশেই বুধবার ছিল মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচিতে স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্বে।
বুধবার মুখ্যমন্ত্রী সভাস্থলে আসার পথে এদের দেখতে পান। মঞ্চে বক্তৃতাপর্বে তিনি জানান, রাজ্য সরকার যে নারায়ণী ব্যাটেলিয়ান তৈরির প্রক্রিয়া চালাচ্ছে, তাতে অনন্ত-বাহিনীর যুবকদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘‘যদি অনন্তবাবু চান তা হলে এই যুবকদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।’’ মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরেই উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে গ্রেটার সংগঠনের ওই যুবকেরা। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, শেষ পর্যন্ত অনন্তের ইচ্ছার উপরেই নির্ভর করছে নারায়ণী ব্যাটেলিয়ানে স্থান পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারের প্রশ্ন।
বুধবার সভা শেষ করে মুখ্যমন্ত্রী বাগডোগরার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার পর অনন্ত বলেন, ‘‘রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা মুখ্যমন্ত্রীর হাতে। তিনি কী করবেন, সেটা তাঁর একান্ত নিজস্ব সিদ্ধান্তের বিষয়। কিন্তু আমি বা আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে ওঁর কাছে নারায়ণী ব্যাটেলিয়ানে আমাদের যুবকদের অগ্রাধিকারের বিষয়ে কোনও কিছু দাবি পেশ করা হয়নি। এ বিষয়ে আমরা পর্যালোচনা করব। তা ছাড়া আমাদের সংগঠনের ছেলেরা যদি নারায়ণী ব্যাটেলিয়নে যোগদান করতে চায়, সেটা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
এর পর তিনি মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণের বিষয়ে বলেন, আমরা রাজ্যের সকলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকও আমাদের অনুষ্ঠানে আসবেন জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, নিজেকে রাজবংশী সমাজের ‘মহারাজা’ আখ্যা দেওয়া অনন্ত গত বছর বিধানসভা ভোটের আগে পৃথক কোচবিহার রাজ্যের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। এক সময় কয়েকটি ফৌজদারি মামলার জেরে পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে অসমে চলে গিয়েছিলেন তিনি।