২০১৭ সালে, ‘ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো’ গণপিটুনি, গোষ্ঠীঘৃণা সংক্রান্ত অপরাধ এবং বিভিন্ন রাজ্যে তথাকথিত গো-রক্ষকদের হামলার উপর তথ্য সংগ্রহ করেছিল। কিন্তু সেই অপরাধগুলি চিহ্নিতকরণের ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত প্রশ্ন থাকায় শেষ পর্যন্ত তথ্যগুলি প্রকাশ করা হয়নি।
ফাইল চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গ-সহ তিনটি রাজ্যের বিধানসভায় গত চার বছরে গণপিটুনি প্রতিরোধ বিল পাশ হলেও এখনও কার্যকরী হয়নি। সম্প্রতি তথ্য অধিকার আইনে (আরটিআই) আনা একটি প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানিয়েছে কেন্দ্র। ভারতীয় দণ্ডবিধির অনুযায়ী গণপিটুনির অপরাধের জন্য কোনও ধারা নেই। তাই এ ক্ষেত্রে আইন কার্যকর করায় সমস্যা রয়েছে বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের খবর।
ঘটনাচক্রে, গণপিটুনি প্রতিরোধ বিল পাশ হয়েছে তিনটি অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যের বিধানসভায়। ২০১৯-এর অগস্টে রাজস্থান বিধানসভায় পাশ হওয়া বিলে গণপিটুনিতে খুনের অপরাধীর যাবজ্জীবন কারদণ্ড এবং ১ থেকে ৫ লক্ষ টাকার জরিমানার সাজা ধার্য করা হয়েছিল। তার তিন সপ্তাহ পরেই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় গণপিটুনিতে খুনের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডের বিল পাশ হয়। ২০২১-এর ডিসেম্বরে ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় পাশ হওয়া বিলেও গণপিটুনিতে ৩ বছর থেকে যাবজ্জীবন জেলের সাসা ধার্য হয়। ২০১৮ সালে মণিপুর বিধানসভায় গোষ্ঠীহিংসা প্রতিরোধী বিল পাশ করানো হয়েছিল। সেখানে আলাদা ভাবে গণপিটুনির কথা বলা হয়নি।
২০১৯ সালে একটি প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছিল, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০০ এবং ৩০২ ধারায় খুনের মামলা সংক্রান্ত ধারাগুলি গণপিটুনির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হতে পারে। ২০১৭ সালে, ‘ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো’ গণপিটুনি, গোষ্ঠীঘৃণা সংক্রান্ত অপরাধ এবং বিভিন্ন রাজ্যে তথাকথিত গো-রক্ষকদের হামলার উপর তথ্য সংগ্রহ করেছিল। কিন্তু সেই অপরাধগুলি চিহ্নিতকরণের ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত প্রশ্ন থাকায় তথ্যগুলি প্রকাশ করা হয়নি।
আরটিআই-প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছেন, রাজস্থান বিধানসভায় পাশ হওয়া বিলটির আইনি বৈধতা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। তবে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা পাশ হওয়া বিলটি এখনও আসেনি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছেন, রাজ্যের আইনসভায় পাশ হওয়া বিলগুলিকে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় মন্ত্রকগুলি তিনটি ভিত্তিতে পরীক্ষা করে---কেন্দ্রীয় আইনের সাথে বিরোধিতা, জাতীয় বা কেন্দ্রীয় নীতি থেকে বিচ্যুতি এবং আইনি ও সাংবিধানিক বৈধতা।