—ফাইল চিত্র।
নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর সভায় একঝাঁক সদস্যকে নিয়ে দিঘা সফরে গিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। মন্ত্রিসভা থেকে শুভেন্দুর ইস্তফার পরে তাঁর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডলকে এ বার বাড়তি গুরুত্ব দিল দল। শনিবার বিকেলে কলকাতার ক্যামাক স্ট্রিটে মালদহের জেলা নেতৃত্বদের নিয়ে বৈঠক করেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে ছিলেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর (পিকে)। ওই বৈঠকের পরে ডিসেম্বর মাসে অভিষেকের মালদহ সফরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
তৃণমূল সূত্রে খবর, বৈঠকে গৌরকে জেলা রাজনীতিতে কাজে লাগানোর জন্য নেতৃত্বকে নির্দেশ দেন অভিষেক। যা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করেছেন তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ। তাঁদের দাবি, গৌরকে দলে ধরে রাখতেই জেলা রাজনীতির কাজে লাগানোর এই নির্দেশ।
তৃণমূলের মালদহের কো-অর্ডিনেটর দুলাল সরকার বলেন, ‘‘জেলায় কোর কমিটি রয়েছে। দলের সিদ্ধান্ত সেই কমিটিই নিয়ে থাকে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় গৌরকে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্য নেতৃত্ব।’’
তবে তৃণমূলের এক নেতা বলেন, “গৌরকে নিয়ে আগেও এই ক্যামাক স্ট্রিটে বৈঠক করেছিলেন অভিষেক ও পিকে। তার পরেও নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর সভার দিন দলবল নিয়ে দিঘা সফরে গিয়েছিলেন গৌর।’’ এ সব নিয়ে গৌর অবশ্য এ দিন কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
এ দিনের বৈঠকে গৌর, দুলাল ছাড়াও ছিলেন কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী, মোয়াজ্জেম হোসেন, অম্লান ভাদুড়ির মতো তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৌসম নুর, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র, শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি মানব বন্দ্যোপাধ্যায়রা বৈঠকে ছিলেন না বলে জানা গিয়েছে। পারিবারিক সমস্যার কারণে যেতে পারেননি বলে এ দিন জানিয়েছেন সাবিত্রী ও মানব। মৌসম আক্রান্ত জ্বরে।
তিনি বলেন, “জ্বর, তাই বৈঠকে যাওয়া হয়নি। দলকে তা জানিয়েছি।”
জেলায় এখনও অঞ্চল কমিটি গঠন হয়নি। বেশ কিছু ব্লকে পূর্ণাঙ্গ কমিটিও নেই। কমিটি গঠনের কাজ দ্রুত করার জন্য জেলা নেতৃত্বকে এ দিন অভিষেক নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন বৈঠকে হাজির নেতাদের একাংশ। সেই সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলা নেতৃত্বকে একসঙ্গে কাজ করার বার্তাও দেওয়া হয়। কারণ, মালদহে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার তৃণমূল। কৃষ্ণেন্দু বলেন, “নেতৃত্বের নির্দেশ মতো আমরা একসঙ্গেই কাজ করে আগামী নির্বাচনে দলকে জেলায় শক্তিশালী করে তুলব।’’ মোয়াজ্জেম বলেন, “কমিটি গঠনের কাজ এখনও বাকি রয়েছে। নির্দেশ মতো দ্রুততার সঙ্গে কমিটির তালিকা তৈরি করব।”