যুবককে খুনের চেষ্টার অভিযোগ নববধূর বিরুদ্ধে। নিজস্ব চিত্র।
মাদক খাইয়ে স্বামীকে অচৈতন্য করে বেঁধে গলায় ফাঁস দিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল নববধূর বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, সেই দৃশ্য মোবাইলে রেকর্ড করে নিজের মাকে লাইভ ভিডিয়ো দেখানোর অভিযোগও উঠেছে ওই তরুণীর বিরুদ্ধে। যুবকের গোঙানি শুনে বাড়ির লোকজন দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করেন। কোনওক্রমে প্রাণে বাঁচেন ওই যুবক। অভিযুক্ত নববধূকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এমনই ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে পুরাতন মালদহ থানার মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েতের রাহুত গ্রামে। যদিও অভিযুক্ত তরুণী সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
রাহুত গ্রামের বাসিন্দা আয়াতুল শেখের সঙ্গে মাস দুয়েক আগে বিয়ে হয় ইংরেজবাজারের নরহাট্টা গ্রাম পঞ্চায়েতের সাতঘরিয়া গ্রামের বাসিন্দা আসমিরা খাতুনের। ভিন্রাজ্যে কাজ করেন আয়াতুল শেখ। কিছু দিন আগে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। অভিযোগ, সোমবার রাতে আচমকা তিনি স্ত্রীর নির্যাতনের শিকার হন।
আয়াতুল শেখের কথায়, ‘‘এক সপ্তাহ হল আমি ভিন্রাজ্য থেকে বাড়ি ফিরেছি। কিন্তু বাড়িতে সবসময় আমাকে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হত। খাবারের সঙ্গে মাদকজাতীয় কিছু খাইয়ে দেওয়া হত। সবসময় বাড়িতেই ঝিম মেরে থাকতাম। এ নিয়ে আমার সদ্য বিবাহিত স্ত্রী আজমিরা খাতুনকে অনেক বার জিজ্ঞাসা করেছিলাম। কিন্তু কিছু উত্তর দেয় নি সে। সোমবার রাতে হঠাৎ ও ওর অন্তর্বাস দিয়ে আমার মুখ বাঁধে। তার পর হাত-পা বেঁধে ওর মোবাইল থেকে ফোন করে আমাকে খুন করার কথা বলতে থাকে ওর মাকে । ওই ঘটনার ভিডিয়ো রেকর্ডিংও করা হয়। আমার গোঙানির শব্দ শুনে পাশের ঘর থেকে আমার বৃদ্ধ বাবা-মা ছুটে এসে আমাকে বাঁচান। চেঁচামেচিতে প্রতিবেশীরাও ছুটে আসে। না হলে ও হয়তো আমাকে খুন করে ফেলত।’’ যদিও আজমিরা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
পুরাতন মালদা থানার এক তদন্তকারী পুলিশকর্তার কথায়, ‘‘প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে ওই তরুণী মানসিক বিকারগ্রস্ত। ওঁর বিবাহবহির্ভূত কোনও সম্পর্কও থাকতে পারে। না হলে এমন ভাবে কেউ নিজের স্বামীকে নির্যাতন করতে পারে না।’’ ওই তরুণীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।