খরস্রোতা নদীতে পাথরের উপর দাড়িয়ে সেলফি তুলতে গিয়ে পা হড়কে নদীতে পড়ে গেলেন এক মহিলা। নিজস্ব চিত্র।
খরস্রোতা নদীর পাথরে দাঁড়িয়ে নিজস্বী তুলতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে গেলেন এক মহিলা। ভেসে যাওয়া ওই মহিলাকে বাঁচালেন এক শিক্ষক। শুক্রবার দুপুরে জলঢাকা নদীতে এই ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নাথুয়া বানিয়াপাড়া চৌরাস্তা হাই স্কুলের ভুগোল বিভাগের প্রায় আশি জন পড়ুয়াকে নিয়ে জলঢাকা নদীর পারে শিক্ষামূলক ভ্রমণে গিয়েছিলেন শিক্ষকেরা। সেখানে ঘুরতে গিয়েছিল শিলিগুড়ির আরও একটি দল। ওই দলে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার-সহ বিভিন্ন জেলার প্রতিনিধিরা ছিলেন। এই দলেরই এক মহিলা পপি নন্দী নিজস্বী তুলতে নদীর একটি পাথরের উপরের ওঠেন। টাল সামলাতে না পেরে তিনি আচমকা নদীতে পড়ে যান। খরস্রোতা নদী তাঁকে শিলিগুড়ির বাসিন্দা পপিকে দ্রুত টেনে নিয়ে যেতে থাকে। ঘটনার আকস্মিকতা বুঝে ওঠার আগেই সকলে দেখতে পান পপি নদীতে ভেসে যাচ্ছেন। সকলে মিলে চিৎকার শুরু করেন। সেই সময় শিক্ষক মিলন মিঞ্জ কোনও কিছু না ভেবে পপিকে বাঁচানোর জন্য নদীতে ঝাঁপ দেন। তাঁকে উদ্ধার করে নদীর পারে নিয়ে আসেন।
ওই দলের এক সদস্য সোনু ছেত্রী বলেন, “পপি পাথরের উপর দাঁড়িয়ে নিজস্বী তুলতে গিয়ে পা পিছলে নদীতে পড়ে যান। তার পর তিনি ভেসে যেতে থাকেন। ওই অবস্থায় ঠিক কী করণীয় তা বুঝে ওঠার আগেই এক শিক্ষক নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পপিকে উদ্ধার করে।’’
মিলন পরে বলেন, “আমরা স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে একটা শিক্ষামূলক ভ্রমণে গিয়েছিলাম। আমাদের থেকে একটু দূরে একটি দল ছিল। যারা আপার জলঢাকা বেড়াতে এসেছিল। ওই দলের এক মহিলা ছবি তুলতে গিয়ে নদীতে পড়ে যান। প্রায় ২০-৩০ মিটার ভেসে গিয়েছিলেন। কোনও কিছু না ভেবেই নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ি। কোনও মতে ওঁকে উদ্ধার করি।”