এই দৃশ্য ঘিরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। নিজস্ব চিত্র
ঠিকাদারের থেকে ঘুষ নিচ্ছেন পুরাতন মালদহ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মৃণালিনী মাইতির স্বামী সন্তোষ মাইতি! জেলা জুড়ে নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এমন এক ভিডিয়ো ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। যদিও ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। সন্তোষের পাল্টা দাবি, ওই টাকা ঘুষ নয়, ঠিকাদারের থেকে চাঁদা হিসাবে নেওয়া হয়েছিল। এই বিতর্কে নাম জড়িয়েছে বন ও ভূমি দফতরের কর্মাধ্যক্ষ রাবিয়া বিবির স্বামী মুকুলেশ্বর রহমান-সহ পঞ্চায়েত সমিতির কয়েক জন সদস্যের।
নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োটিতে দেখা যাচ্ছে, একটি ঘরে বসে রয়েছেন সন্তোষ, মুকুলেশ্বর-সহ পঞ্চায়েত সমিতির কয়েক জন সদস্য। এক জনের থেকে টাকা নিচ্ছেন সন্তোষ। তিনি সেই টাকা মুকুলেশ্বরের হাতে তুলে দিচ্ছেন। মুকুলেশ্বরকে ওই টাকা গুনতে দেখা গিয়েছে। এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। সন্তোষের অবশ্য দাবি, ‘‘এই ভিডিয়ো পুরনো। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত বছর যখন মালদহে এসেছিলেন তখন গাড়ি ভাড়াবাবদ টাকা নেওয়া হয়েছিল। চাঁদা দেওয়ার ছবিই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে। কোনও কাজের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য নয়। তৃণমূলেরই কয়েক জন বিরোধিতা করার জন্য এমন অপ্রচার করছেন।’’
তৃণমূলের মালদহ জেলার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী বলেন, ‘‘এটা অত্যন্ত গর্হিত কাজ। প্রশাসনের তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’’
এ নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের মালদহ জেলার সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘তৃণমূলের নেতাদের চরিত্র এমনই। এমন ছবি এবং ঘুষ খাওয়ার তথ্য অনুসন্ধান করলে প্রচুর পাওয়া যাবে।’’