দিদিকে বলো-র দ্বারস্থ তৃণমূল কর্মীও

গত সোমবার গোপাল বিশ্বাস নামের ওই তৃণমূল কর্মী টেলিফোন করেন কলকাতায় ‘দিদিকে বলো’র নম্বরে। সব অভিযোগ শোনার পরে কলকাতার ‘দিদিকে বলো’র দফতর থেকে তিন সপ্তাহ সময় চাওয়া হয়েছে দম্পতির কাছ থেকে।

Advertisement

কৌশিক চৌধুরী

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০১৯ ০৫:০৩
Share:

—ফাইল চিত্র।

নিজের দলেরই নেতার হাত থেকে জমি বাঁচাতে ‘দিদিকে বলো’-র দ্বারস্থ এক দম্পতি। স্বামী স্ত্রী দু’জনই সক্রিয় তৃণমূল কর্মী। শিলিগুড়িতে হিলকার্ট রোড লাগোয়া গলিতে শাসক দলের জেলা পার্টি অফিসের কাছেই ছোট্ট জেরক্সের দোকান। স্ত্রী ভোটে তৃণমূলের পোলিং এজেন্টও হন। এহেন দম্পতির জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে তৃণমূলের এক স্থানীয় নেতার বিরুদ্ধে। তিন বছর ধরে পুলিশ, নানা মহলে অভিযোগ করে শেষে ওই দম্পতি দ্বারস্থ হয়েছেন ‘দিদিকে বলো’-র।

Advertisement

গত সোমবার গোপাল বিশ্বাস নামের ওই তৃণমূল কর্মী টেলিফোন করেন কলকাতায় ‘দিদিকে বলো’র নম্বরে। সব অভিযোগ শোনার পরে কলকাতার ‘দিদিকে বলো’র দফতর থেকে তিন সপ্তাহ সময় চাওয়া হয়েছে দম্পতির কাছ থেকে। দম্পতির আশা, ‘‘স্থানীয় দাদা’রা বা পুলিশ, মামলা মোকদ্দমা করে হয়রান হয়ে গিয়েছি। দিদি এ বার নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেবেন।’’

গোপালবাবুর স্ত্রী নাম প্রতিমা গুপ্ত। শহর লাগায়ো চম্পসারির পোকাইজোতে তাঁদের চার কাঠা জমি রয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা। ২০০১ সাল নাগাদ তাঁরা জমিটি কিনেছিলেন। সীমানা দেওয়াল দিয়ে জমিটিকে ঘিরে দুটি বেড়ার ঘরও করেন। সব ঠিকঠাই চলছিল। সমস্যার সূত্রপাত তিন বছর আগে। গোপালবাবু বলেন, ‘‘ প্রায় ২ কাঠায় হঠাৎ অন্য লোক বসে যান। শুনি শ্যাম যাদব নামের ওই নেতা নাকি জমি বিক্রি করে দিয়েছেন। আমাদের জমি, নথিপত্র, দলিল সব রয়েছে। খোঁজখবর করতেই গোলমাল শুরু হয়। তালা মেরে দেওয়া হয় আমাদের জমিতে। পুলিশে প্রথমে অভিযোগ করি। কিছু দিন ঘোরার পর পুলিশ তদন্ত করলেও খুব কিছু কাজ হয়নি। যে ব্যক্তি জমিতে বসেছিলেন, তিনি সব শুনে উঠে যান। এর পরে নকল নথির মামলা হয়।’’

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, স্থানীয় ওই তৃণমূল নেতা শ্যামকে একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়। তিনি তিনমাস জেলেও ছিলেন। তার পরে কিছুদিন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। জমি দখলের মামলা এখনও চলছে। সম্প্রতি আবার ওই জমির ঘরগুলিতে তালা মেরে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। গোপালবাবু বলেন, ‘‘এ যেন জোর যার মুলুক তার। আমরা সাধারণ তৃণমূল কর্মী। দিদিকে ভালবেসে দল করি। অথচ আমাদেরই দলের নেতার হাত থেকে জমি উদ্ধার করতে নাকানি চোবানি খেতে হচ্ছে।’’ জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা মন্ত্রী গৌতম দেব বলেছেন, ‘‘দিদিকে বলো কর্মসূচি তো এই উদ্দেশ্যেই তৈরি হয়েছে। আমরাও বিষয়টি দেখব।’’ যদিও অভিযুক্ত শ্যাম যাদবের দাবি, ‘‘আমি কোনও জমিতে তালা মারিনি। ওই দম্পতি সঠিক কথা বলছেন না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement