বন্ধ নাগরাকাটার চা-বাগান। প্রতীকী চিত্র।
বন্ধ হয়ে গেল জলপাইগুড়ির নাগরাকাটার বামনডাঙা চা-বাগান। এর ফলে এখন অনিশ্চয়তার মুখে সেখানকার এক হাজার ২০০ শ্রমিক। মঙ্গলবার সকালে কাজে গিয়ে শ্রমিকরা দেখতে পান বাগানের দরজা বন্ধ। বাগানের পরিচালকদেরও তাঁরা দেখতে পাননি। তাঁরা সোমবার রাতেই বামনডাঙা ছেড়ে চলে গিয়েছেন বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে। মালিকপক্ষ এ ভাবে তাঁদের বিপাকে ফেলে চলে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শ্রমিকরা। দ্রুত বাগান খোলার দাবি তুলেছেন তাঁরা। ওই চা বাগানের মালিক প্রসন্নকুমার রায়। তিনি ঘটনাচক্রে এসএসসিকাণ্ডে জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ভাগ্নিজামাই।
এর আগে, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বন্ধ ছিল বামনডাঙা চা-বাগানটি। তা খোলা হয়েছিল কিছু দিন আগে। শ্রমিকদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বাগানে তেমন কোনও সমস্যা ছিল না। এর পর মঙ্গলবার থেকে হঠাৎ ওই বাগানটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন সেখানকার শ্রমিকরা। তবে তাঁদের দাবি, শীতের শুখা মরসুমে বাগান বন্ধ করে দেওয়ার প্রবণতা রয়েছে চা-বাগানের মালিকদের একাংশের। বামনডাঙা চা-বাগানটি সেই কারণেই বন্ধ হয়েছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন শ্রমিকরা। তবে মালিকপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য শ্রমিকদেরই দায়ী করেছে। কর্মসংস্কৃতির অভাব-সহ মোট ৯টি কারণ তুলে ধরেছে মালিকপক্ষ।
বাগানের ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজার সৌম্য ঘটক বলেন, ‘‘লক আউটের সিদ্ধান্ত গ্রহণ ছাড়া আমাদের আর কোনও বিকল্প ছিল না।’’ অবশ্য বাগানের তৃণমূল প্রভাবিত চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা কৈলাস গোপ বলেন, ‘‘শ্রমিকদের নিয়ে যদি কোনও সমস্যা থাকত তবে তো সে ক্ষেত্রে পরিচালকরা ইউনিয়নের সঙ্গে কথা বলতেন। সে সব তো কিছুই হয় নি। ওঁরা আগে থেকেই বাগান বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনা নিচ্ছিলেন তলে তলে।’’ দ্রুত বাগান খোলার দাবি তুলেছেন তিনি।