তরুণীর দাবি, তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন অভিযুক্ত। প্রতীকী ছবি।
ফেসবুকে বন্ধুত্বের পর ‘সম্পর্ক’ গড়ে উঠেছিল নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দেওয়া এক নাইজিরীয় যুবকের সঙ্গে। এমনকি, বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন তিনি। তবে দু’মাসের ব্যবধানে তাঁর কাছ থেকে ১৬ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ওই যুবক। মালদহের সাইবার অপরাধদমন শাখায় এমনই অভিযোগ করেছেন এই জেলার এক তরুণী। তদন্তে নেমে সোমবার ওই অভিযুক্ত নাইজিরীয় যুবককে নয়ডা থেকে গ্রেফতার করল মালদহের সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। সোমবার মালদহ জেলা আদালতে হাজির করানো হলে তাঁকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছেন বিচারক।
পুলিশ সূত্রে খবর, ৩৪ বছরের অভিযুক্তের নাম চিবুঝো ক্রিস্টিয়ানো। মালদহের মোথাবাড়ি থানা এলাকার এক ২৮ বছরের তরুণীর দাবি, ফেসবুকের মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়েছিলেন চিবুঝো। সে সময় নিজেকে চিকিৎসক হিসাবে পরিচয় দেন তিনি। ফেসবুকেই তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এমনকি, মালদহ এসে তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন চিবুঝো। সম্প্রতি চিবুঝো জানান, শুল্ক দফতরের দিল্লি অফিসে এসে সমস্যায় পড়েছেন তিনি। সেই সমস্যা মেটাতে তাঁর কাছ থেকে টাকা চেয়ে পাঠান। এ ভাবে দু’মাসের ব্যবধানে প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ।
তরুণীর দাবি, প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে মালদহ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। সেই অভিযোগের তদন্তে নেমে মালদহ সাইবার ক্রাইম থানার একটি দল নয়ডা যায়। সেখান থেকেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে মালদহেয় নিয়ে আসে।
পুলিশ জানিয়েছে, এই মুহূর্তে মালদহের সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশির হেফাজতে রয়েছেন চিবুঝো। এর আগে ৮ অগস্ট অনলাইনে আর্থিক প্রতারণা মামলায় ধৃত বেনেডিক্ট নামে আরও এক নাইজিরীয় নাগরিককে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ এবং মালদহ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশের যৌথ অভিযানে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
তদন্তকারীদের দাবি, চিবুঝো ওই প্রতারণা চক্রের অন্যতম পাণ্ডা। অগস্টে আর্থিক প্রতারণা মামলায় যে নাইজিরীয়কে গ্রেফতার করা হয়েছিল, সেই সূত্র ধরেই চিবুঝোকে ধরা হয়েছে।