স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে, সোমবার গভীর রাতে একটি পণ্যবাহী লরি বীরপাড়ার দিক থেকে ধূপগুড়ি দিকে যাচ্ছিল। গয়েরকাটা চৌপথি এলাকায় দ্রুত গতিতে রাস্তায় বাঁক নিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঢুকে পড়ে রাস্তার পাশের একটি বাড়িতে। সেই সময় পাশের ঘরেই মোবাইলে গেম খেলছিলেন বাড়ির মালিক শংকর দুবের পুত্র শিবা দুবে। কোনওক্রমে প্রাণে বেঁচে যান তিনি।
পণ্যবাহী লরি বীরপাড়ার দিক থেকে ধূপগুড়ি দিকে যাচ্ছিল। নিজস্ব চিত্র
গভীর রাতে আচমকাই জাতীয় সড়ক থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঘরের ভেতরে ঢুকে পড়ল একটি দূরপাল্লার পণ্যবাহী লরি। প্রাণে বাঁচলেন বাড়ির মালিক-সহ পরিবারের লোকজনেরা। গয়েরকাটা এশিয়ান হাইওয়ে ৪৮ চৌপতি এলাকায় এই নিয়ে গত ৩ মাসে প্রায় চারটি বড় দুর্ঘটনা হওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পডে়ন স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে, সোমবার গভীর রাতে একটি পণ্যবাহী লরি বীরপাড়ার দিক থেকে ধূপগুড়ি দিকে যাচ্ছিল। গয়েরকাটা চৌপথি এলাকায় দ্রুত গতিতে রাস্তায় বাঁক নিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঢুকে পড়ে রাস্তার পাশের একটি বাড়িতে। সেই সময় পাশের ঘরেই মোবাইলে গেম খেলছিলেন বাড়ির মালিক শংকর দুবের পুত্র শিবা দুবে। কোনওক্রমে প্রাণে বেঁচে যান তিনি।
বিকট শব্দে ঘুম ভাঙে আশেপাশের প্রতিবেশীদের। তাঁরা ছুটে আসেন ঘটনাস্থলে। এসে দেখেন একটি বড় পণ্যবাহী লরি ঘরের ভেতরে ঢুকে পড়েছে। আসবারপত্র টিভি ফ্রিজ-সহ সমস্ত কিছুই দুমড়ে চুমড়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বানারহাট থানার পুলিশ। ঘটনার পরই গাড়ির চালক এবং খালাসি পলাতক। রাত ভোর দু’টি ক্রেনের সাহায্যে চেষ্টা চালিয়ে সকাল ৯ টা নাগাদ গাড়িটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ প্রায়শই দুর্ঘটনা হয় এলাকায়। প্রশাসনকে একাধিকবার জানানো সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
এই দুর্ঘটনার ফলে দরিদ্র পরিবারটির থাকার একমাত্র ঘর ও ভেতরে সমস্ত আসবাবপত্র ভেঙে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তাঁরা। ক্ষতিপূরণের দাবিও তুলেছেন।