—ফাইল চিত্র
রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের এক সিটি স্ক্যান কর্মীর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল। সোমবার ২৫ বছরের এক বধূকে নিয়ে সিটি স্ক্যান করাতে এসেছিল তাঁর পরিবার। সেই সময় পরিবারের সকলকে ঘরের বাইরে বার করে ওই বধূর যৌনাঙ্গে হাত দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযুক্তকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় রোগিণীর আত্মীয় ও উত্তেজিত জনতা।
রোগিণীর পরিজন মৃত্যুঞ্জয় দাস বলেন, “আমার বন্ধু তাঁর স্ত্রীকে সিটি স্ক্যান করাতে নিয়ে এসেছিল। সেই সময় ঘর থেকে সকলকে বার করে দেওয়া হয়। এর পর যৌনাঙ্গে হাত দেন সিটি স্ক্যান কর্মী। আমার বন্ধু স্ত্রী চিৎকার করে ওঠে। তখন বাড়ির সকলে ভিতরে যায়। পুলিশকে জানানো হয়েছে।”
অভিযোগ করা হয়েছে হামিদ শেখ নামের ওই সিটি স্ক্যান কর্মীর বিরুদ্ধে। হামিদ বলেন, “বাড়ির লোক অভিযোগ করছে আমি খারাপ কাজ করেছি। রোগিণীর গায়ে নাকি আমি হাত দিয়েছি। সিটি স্ক্যান চলাকালীন এক জন ঘরে ছিল। তিন বছর ধরে আমি এখানে কাজ করছি।”
ঘটনার খবর পেয়ে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ অভিযুক্ত সিটি স্ক্যান কর্মী হামিদকে আটক করে। হামিদের বক্তব্যে অসঙ্গতি পেয়ে তাঁকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে তৃণমূলের অস্থায়ী স্বাস্থ্যকর্মী সংগঠনের সভাপতি সত্যরঞ্জন সরকার বলেন, “এমন ঘটনা আগে এখানে ঘটেনি। ওই কর্মীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত হোক। আমি চাই তদন্তের মধ্যে দিয়ে প্রমাণ হোক কে সত্যি বলছে, কে মিথ্যা।”
রোগিণীর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযুক্তের শাস্তির দাবি করা হয়েছে। এমন অন্য কারও সঙ্গে যাতে না ঘটে সে দিকেও নজর দেওয়ার দাবি করেছেন তাঁরা।