—নিজস্ব চিত্র।
মাছ ধরার সময় ছিপে গেঁথে গিয়েছিল একটি প্রমাণ সাইজের কচ্ছপ। সেটিকে মেরে ভূরিভোজ করার ছক কষেছিল স্থানীয়েরা। তবে ছক ভেস্তে দিলেন বন দফতরের কর্মীরা। সোমবার ধূপগুড়িতে প্রায় ৩০ কিলোগ্রাম ওজনের ওই কচ্ছপটিকে উদ্ধার করেছেন তাঁরা। বন দফতরের মতে, এটি লুপ্তপ্রায় প্রজাতির।
বন দফতর সূত্রে খবর, ধূপগুড়ির ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সোমবার সকালে ওই কচ্ছপটি উদ্ধার করা হয়। এর পর সেটিকে ফের জঙ্গলের নদীতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, রবিবার সন্ধ্যায় ধূপগুড়ি ব্লকের ডুডুয়া নদীতে প্রতি দিনের মতো মাছ ধরতে গিয়েছিলেন এলাকার কয়েক জন। সে সময় ছিপের সুতোয় টান দিতেই বুঝতে পারেন যে বড়শিতে ভারী কিছু একটা আটকেছে। ছিপ টেনে নদীর জল থেকে ডাঙায় ওঠাতেই তাঁদের চক্ষু চড়কগাছ! বড়শিতে মাছ নয়, আটকে রয়েছে বিশালকায় একটি কচ্ছপ। তা দেখে কচ্ছপটিকে মেরে পরে তার মাংস খাওয়ার ছক কষেন স্থানীয় কয়েক জন। সেটিকে রায়পাড়ায় রেখে দেওয়া হয়। কিন্তু বিষয়টি বুঝতে পেরে সোমবার সকালে বন দফতরে খবর দেন এলাকার লোকজন। বনাধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সোনাখালি বিটের বনকর্মীরা এসে কচ্ছপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। সেটিকে ফের জঙ্গলের নদীতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে বন দফতর সূত্রের খবর। শফিয়ার রহমান নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘‘নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে বড়শিতে কচ্ছপটি ধরা পড়েছিল। সেটিকে উদ্ধার করে সোমবার বন দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।’’
কচ্ছপটিকে উদ্ধারের কাজে গিয়েছিলেন সোনাখালি বিট অফিসার সহদেব ওঁরাও। তিনি বলেন, ‘‘মরাঘাট রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার আমাকে ফোনে জানান যে ধূপগুড়িতে একটি কচ্ছপ ধরা পড়েছে। সেটিকে রায়পাড়া ২ নম্বর ওয়ার্ডে রেখে দেওয়া হয়েছে। এর পরই আমরা সেখানে গিয়ে কচ্ছপটিকে উদ্ধার করি। লুপ্তপ্রায় কচ্ছপটির ওজন প্রায় ৩০ কিলো। সেটিকে ফের জঙ্গলের নদীতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’’