Jalpaiguri

বকেয়া চার লক্ষ টাকার বিল! জলপাইগুড়িতে অফিসে আত্মহত্যার চেষ্টা ঠিকাদারের

ওষুধ জাতীয় কিছু খেয়ে গৌতম দাস নামে ওই ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে প্রথমে ময়নাগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাঁকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ময়নাগুড়ি শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২৩ ২৩:৩৬
Share:

বর্তমানে ওই ব্যাক্তি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রতীকী ছবি।

বকেয়া বিল না মেলায় বিডিও অফিসের ভিতর আত্মহত্যার চেষ্টা করার অভিযোগ উঠল এক ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। বুধবার বিকেলে জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি বিডিও অফিসে ঘটনাটি ঘটেছে। ওষুধ জাতীয় কিছু খেয়ে গৌতম দাস নামে ওই ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে প্রথমে ময়নাগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাঁকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন।

Advertisement

ময়নাগুড়ির বিডিও শুভ্র নন্দী বলেন, ‘‘যে সময়ে বিল তৈরি হয়েছে, সেই সময় আমি দায়িত্বে ছিলাম না। তা ছাড়া ওঁর (গৌতম) কাছে কাজের বরাতের কোনও কাগজপত্রও নেই। আজ যে সময় ঘটনাটি ঘটেছে, আমি অফিসে ছিলাম না। কর্মীদের থেকে জানতে পেরেছি, ওষুধ জাতীয় কিছু খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন উনি।’’

গৌতমের পরিবারের দাবি, ২০১৮ সাল থেকে বিডিও অফিসে খাবার সরবরাহ করেছেন গৌতম। তাঁর বকেয়ার অঙ্ক বাড়তে বাড়তে চার অঙ্কের টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। বারবার আবেদন করেও তা মেলেনি। গৌতমের ছেলে বর্ণজিৎ দাস বলেন, ‘‘আমরা ছোট ব্যবসায়ী। দীর্ঘ দিন ধরে আমাদের ৪ লক্ষ টাকা বকেয়া বিল পড়ে রয়েছে। কিন্তু টাকা পাচ্ছি না আমরা। আমাদের ইলেকট্রিকের লাইনও কেটে দিয়েছে। তার পরেই এই কাণ্ড করে বসলেন বাবা।’’ পরিবারের দাবি, বি়ডিও অফিসে যাওয়ার আগে বাড়িতে একটি সুইসাইড নোটও লিখে গিয়েছিলেন গৌতম।

Advertisement

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিডিও জানান, পরে গৌতমের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement