ছোট ছেলেকে নিয়ে নীলিমা ওরাঁও। নিজস্ব চিত্র
কাজের জন্য পরিবার নিয়ে ভিনরাজ্য পাড়ি দিয়েছিলেন কোচবিহার দুই নম্বর ব্লকের পাতলাখাওয়া এলাকার বাসিন্দা মঙ্গল ওরাওঁ। ১৬ বছর ধরে জয়পুরে নির্মাণসংস্থার কর্মী হিসাবে কাজ করতেন। সেখানে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে থাকতেন। বছরে এক বার করে তাঁদের নিয়ে বাড়ি ফিরতেন। কিন্তু এ বার আর বাড়ি ফেরা হল না মঙ্গল ওরাওঁয়ের। বাড়ি থেকে মাত্র কয়েকটি স্টেশন আগে বিকানের-গৌহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনের দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন তিনি।
এই দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন মঙ্গলের ছেলে মানিক ওরাওঁ। স্বামীর মৃত্যু এবং বড় ছেলের গুরুতর আহত হওয়ায় পর ছোট ছেলে রাহুল ওরাওঁকে নিয়ে অসহায় হয়ে পড়ছেন তাঁর স্ত্রী নীলিমা ওরাওঁ। তিনি জয়পুরে পরিচারিকার কাজ করতেন। দীর্ঘদিন পর তাঁরা গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন।
নীলিমা বলেন, ‘‘স্টেশনে নামতে এক ঘণ্টা বাকি ছিল। হঠাৎ একটা প্রচণ্ড ঝাঁকুনি খেয়ে সিটের নীচে পড়ে যাই। তার পর আর কাউকে খুঁজে পাইনি। ’’
বাড়ি ফিরছিলেন বলে বোনকেও ডেকেছিলেন মঙ্গল। দাদার ডাকে বাড়িতে এসেছিলেন বোনও। কিন্তু দাদা ফেরেননি।
শনিবার মঙ্গল ওরাওঁয়ের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পাতলাখাওয়ায় তাঁদের বাড়িতে আসেন রাজ্যের মন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারী এবং এনবিএসটিসি-র চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায়। পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন পরেশচন্দ্র অধিকারী। ছেলেকে মানুষ করতে মন্ত্রীর কাছে কর্মসংস্থানের আবেদন জানান নীলিমা।