ফাইল ছবি।
রাজ্যে করোনা বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ল আরও ১৫ দিন। তবে এই দফায় কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দিয়েছে নবান্ন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিয়েবাড়ি সংক্রান্ত বিধিনিষেধে আংশিক ছাড়।
গত ২ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী করোনা বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছিলেন। জানিয়েছিলেন, বিয়েবাড়িতে সর্বোচ্চ ৫০ জনকে আমন্ত্রণ জানানো যাবে। ১৫ জানুয়ারি জারি করা নয়া নির্দেশিকায় সেই নির্দেশে আংশিক বদল আনা হয়েছে।
শনিবারের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বিয়েবাড়িতে ২০০ জন কিংবা বিয়েবাড়ির মোট আসন সংখ্যার অর্ধেক, তার মধ্যে যেটা কম, সেই পরিমাণ আমন্ত্রিত একই সময় একসঙ্গে উপস্থিত থাকতে পারবেন। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে যাঁদের বাড়িতে বিয়ে, নয়া নির্দেশিকায় স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন তাঁরা। বিয়ের মতো অনুষ্ঠানে ৫০ জনের মধ্যে কী ভাবে নিমন্ত্রিতের সংখ্যা বেঁধে রাখা যাবে, তা বুঝতে পারছিলেন না অনেকেই। নয়া নির্দেশিকায় তাঁরা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন।
উত্তরপাড়ার বাসিন্দা সুধাময় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘খুবই আতান্তরে পড়ে গিয়েছিলাম। একমাত্র মেয়ের বিয়ে ২৪ জানুয়ারি। সকলকে নিমন্ত্রণের পরে জানতে পারি ৫০ জনের বিধিনিষেধের কথা। এখন যে সিদ্ধান্ত রাজ্য জানিয়েছে, তাতে অনেকটাই সুবিধা হল। কাউকে আর নিষেধ করতে হবে না। সরকারি নিয়ম মেনেই অনুষ্ঠানের আয়োজন করব। একসঙ্গে যাতে ২০০ জনের জমায়েত না হয়, তার পরিকল্পনা করতে হবে।’’
রাজ্য সরকারের পরিবর্তিত নির্দেশিকায় স্বস্তি পেয়েছেন উত্তরপাড়ারই আর এক বাসিন্দা প্রশান্ত ভট্টাচার্য। আগামী ২৪ জানুয়ারি তাঁর ছেলের বিয়ে। ৫০ জন আমন্ত্রণ জানানোর নির্দেশিকায় সমস্যায় পড়ে গিয়েছিলেন। নয়া নির্দেশিকায় স্বস্তির নিশ্বাস ছেড়েছেন প্রশান্তও। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের পরিবার অনেক বড়। ছেলের বিয়েতে নির্দেশিকার জন্য কাকে আমন্ত্রণ জানাবো, আর কাকে বাদ দেব, কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলাম না। নতুন যে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার, তাতে এই সমস্যা থেকে খানিকটা হলেও মুক্তি পাব।’’