Doors

পর্যটক নেই ডুয়ার্সে, কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটছেন রিসর্ট মালিকেরা

রিসর্ট মালিকেরা জানাচ্ছেন, ভাঁড়ারে মজুত অর্থ দিয়েই রিসর্টের রক্ষণাবেক্ষণ এবং কর্মীদের বেতনের খরচ মেটানো হচ্ছিল, যা আর তাঁদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ডুয়ার্স শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২১ ২০:১০
Share:

ডুয়ার্স।

অতিমারির কারণে পর্যটকশূন্য ডুয়ার্স। মাথায় হাত রিসর্ট মালিকদের। এ বার কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটতে শুরু করেছে তাঁরা। জাতীয় উদ্যান এবং সংরক্ষিত বনাঞ্চল-সবই বন্ধ এখন। যার প্রভাব পড়েছে বেসরকারি রিসর্ট ব্যবসায়ীদের উপরে।

রিসর্ট মালিকেরা জানাচ্ছেন, ভাঁড়ারে মজুত অর্থ দিয়েই রিসর্টের রক্ষণাবেক্ষণ এবং কর্মীদের বেতনের খরচ মেটানো হচ্ছিল, যা আর তাঁদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। রিসর্টের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চালিয়েই যেতে হবে, তাই খরচ কমাতে করতে কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটতে হচ্ছে তাঁদের। অন্যান্য বছর এই সময়ে লাটাগুড়ি, মূর্তি, বাতাবাড়ি-সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় পর্যটকদের ভিড়ে তিল ধারণের জায়গা থাকে না। এই পর্যটন কেন্দ্রগুলির উপর নির্ভর করেন বহু ছোট ব্যবসায়ী এবং টোটো চালক। ফলে তাঁদেরও পেটে টান পড়েছে।

রিসর্ট মালিক শেখ জিয়াউর রহমান জানান, ‘‘প্রচুর কর্মী ছাঁটাই করতে হয়েছে। দুই-তিন জন কর্মী নিয়ে কোনওরকমে টিকে আছি আমরা। করোনা দূর না হওয়া পর্যন্ত আশার আলো দেখছি না আমরা।’’ কোচবিহার থেকে আসা পর্যটক মহম্মদ রফিকুল বলেন, ‘‘এখানে ঘর-বাড়ির অবস্থা শোচনীয়। আশপাশের কোনও দোকানই খোলা নেই। জল কিনব কী ভাবে, তাই ভাবছি।’’

ডুয়ার্সের গরুমারা রিসর্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দেবকমল মিশ্র বলেন, ‘‘ভোটের সময়েও পর্যটক কম ছিল। ভেবেছিলাম, ভোট মিটলে পরিস্থিতি ঠিক হবে। কিন্তু তা হল না। অর্থের অভাবে বহু কর্মীকেই ছাঁটাই করতে হচ্ছে। দোকান আছে, সব জিনিসই আছে, অথচ খদ্দের নেই, এমন অবস্থা।’’ টুরিস্ট গাইড কিরণ শর্মা বলেন, ‘‘গরুমারা, চাপড়ামারি এলাকায় পর্যটকদের ঘোরানোর কাজ করে থাকি আমরা কয়েক জন। এখন তো জাতীয় উদ্যান বন্ধ, জঙ্গল সাফারি সব বন্ধ। তিন বেলা পেটভরে খাওয়াটাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালে়ঞ্জ। লকডাউন উঠলেও আমাদের খুব একটা সুবিধে হবে না। কারণ বর্ষাকাল বন্যপ্রাণী প্রজননের সময়। ওই তিন মাস তো বন্ধই থাকবে জাতীয় উদ্যান।’’

ছাঁটাই হওয়া দুই রিসর্ট কর্মী অমৃতপাল চৌধুরী ও প্রিয়ব্রত সাহা বলেন, ‘‘রিসর্টে পর্যটক নেই। আয় নেই, তাই মালিক ছাঁটাই করেছেন। ভীষণ সমস্যায় রয়েছি আমরা। তবে মালিকরা আশ্বাস দিয়েছেন, অবস্থা স্বাভাবিক হলে আবার কাজে ফিরিয়ে নেবেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement