স্টেশনে পরিদর্শন। নিজস্ব চিত্র
প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান নেওয়া হবে বিকেল ৪টে থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত, এই মর্মে বিজ্ঞাপন দিয়েছিল রেল। তবু বর্ধমান স্টেশনের ঝুল-বারান্দা ভেঙে পড়ার ঘটনায় স্টেশনের জনা সতেরো কর্মী-আধিকারিক ছাড়া কেউ বয়ান দিতে এলেন না সোমবার।
শনিবার সন্ধ্যায় স্টেশনের অনুসন্ধান কেন্দ্রের সামনের বারান্দা ও লাগোয়া স্তম্ভগুলি দফায়-দফায় ভেঙে পড়ে। মৃত্যু হয় এক জনের। বছর চল্লিশের ওই ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি সোমবার রাত পর্যন্ত। ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের দল গড়েছে রেল। ওই দলের তরফে হাওড়া ডিভিশনের সিনিয়র সেফটি অফিসার তপনকুমার মাইতি এ দিন প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান নিতে স্টেশন ম্যানেজারের ঘরে প্রায় দু’ঘণ্টা হাজির ছিলেন।
ঘটনার দিন ওই চত্বরে অনেকে হাজির থাকলেও কেউ বয়ান দিতে এলেন না কেন? স্থানীয় ব্যবসায়ী ও নিত্যযাত্রীদের একাংশের অভিযোগ, রেলের তরফে ঠিকমতো প্রচার করা হয়নি। যদিও রেলের এক কর্তা বলেন, ‘‘বেশ কয়েকটি সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। তার পরেও যাত্রী বা আশপাশের কেউ আসেননি।’’ এ দিন সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরীক্ষা করে রেলের একটি বিশেষজ্ঞ দল। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক নিখিল চক্রবর্তী বলেন, ‘‘তদন্ত চলছে। খড়্গপুর আইআইটি-র বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও আলোচনা করা হচ্ছে।’’
দুর্ঘটনার জেরে স্টেশনের ওই অংশের গেটটি বন্ধ থাকায় সোমবার দুর্ভোগের আশঙ্কায় ছিলেন অনেক যাত্রী। তবে তাঁদের দাবি, ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে যাতায়াতে কিছুটা সমস্যা ছাড়া তেমন ভোগান্তি হয়নি। ঘটনার পরে স্টেশনে ট্রেনের গতি কমানো হয়েছিল। এ দিন তা স্বাভাবিক করা হয়েছে বলে জানায় রেল।