Richa Chadha on Relationship

তিনিই যে সেই মানুষটি বুঝবেন কী করে? রিচা চাড্ডা বললেন, জীবনটাই বদলে যাবে

সুখী সংসার প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রিচাকে একটি পডকাস্টে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘‘কেউ কী করে বুঝবেন আদর্শ জীবনসঙ্গী কে?’’ তারই জবাব দিয়েছেন রিচা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১২:১৫
Share:

রিচা চাড্ডা। —ফাইল চিত্র।

আদর্শ জীবনসঙ্গী খুঁজে পাওয়া মুখের কথা নয়। নতুন কেউ জীবনে এলে, আর তাঁকে মনে ধরলে প্রথমেই যে প্রশ্নটি মাথায় ঘোরে, তা হল— মানুষটির সঙ্গে কি সারা জীবন এক সঙ্গে কাটানো যাবে? উত্তর না পেলে সম্পর্কের বিভিন্ন পর্বে সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে খুঁজতেই সময় কেটে যায়। হয়তো বছর পাঁচেক এক সঙ্গে থাকার পরে বুঝলেন, তিনি সেই মানুষটি নয়। কিন্তু উত্তর পেতে জীবনের ৫টা বসন্ত নষ্ট করাও কাজের কথা নয়। তবু প্রশ্ন থাকে, থেকে যায় সন্দিহান মনও। অভিনেত্রী রিচা চাড্ডা অবশ্য একটি সহজ উপায় বলেছেন, জীবনের আদর্শ মানুষটিকে চেনার।

Advertisement

রিচা বিয়ে করেছেন বলিউডেরই অভিনেতা এবং সহকর্মী আলি ফজ়লকে। সম্প্রতি এক কন্যাসন্তানের মা-বাবাও হয়েছেন তাঁরা দু’জন। সুখী সংসার প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রিচাকে একটি পডকাস্টে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘‘কেউ কী করে বুঝবেন আদর্শ জীবনসঙ্গী কে?’’ জবাবে রিচা বলেছেন, এটা আপনার আত্মা এবং আপনার মস্তিষ্কই আপনাকে বলে দেবে। সেই মানুষটিকে দেখে আপনার মনে হবে, হ্যাঁ এই মানুষটির সঙ্গেই আমি সারা জীবন কাটাতে চাই’।’’

সম্পর্কের বিচার কী ভাবে করবেন, তার একটি সহজ পন্থাও বলে দিয়েছেন রিচা। তাঁর মতে, ‘‘আপনি যখন কোনও সম্পর্কে প্রবেশ করেন, আর সেটি যদি আপনার জন্য উপযুক্ত না হয়, তা হলে আপনি কখনওই ভাল থাকবেন না। দেখবেন, এই ভাল আছেন তো পর ক্ষণেই খারাপ। কাজে মন দিতে পারবেন না। মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত লাগবে। মুখে-চোখে, এমনকি, শরীরেও তার প্রভাব পড়তে বাধ্য।’’ রিচার মতে জীবনটা ‘নরক’ বলেও মনে হতে পারে কখনও-সখনও। কিন্তু ভাল সম্পর্কে সেটা কখনওই হবে না। রিচা বলছেন, ‘‘সম্পর্ক ভাল হলে বা সঙ্গী উপযুক্ত হলে দেখবেন জীবনটা অনেক সুন্দর হয়ে গিয়েছে। ভাল কাজ করতে পারছেন। আনন্দ ঘিরে থাকবে আপনাকে।’’

Advertisement

মনোবিদেরাও রিচার কথাকে কিছুটা সমর্থনই করছেন। মনস্তত্ত্ববিদ জুহি পান্ডে বলছেন, ‘‘সুস্থ সম্পর্কে সঙ্গীর সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠা জরুরি। একে অপরের সঙ্গে সময় কাটালে, দুঃসময়ে পাশে থাকলে, সামাজিক ভাবে এবং কাজের ক্ষেত্রেও পরস্পরকে প্রয়োজনীয় সমর্থন জোগালে এবং একে অপরকে ভাল রাখার চেষ্টা করলে এবং চেষ্টার কদর করলে ওই বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে।’’ তবে সম্পর্কে ক্ষমা করে দেওয়ার মনোভাব থাকাটাও জরুরি বলে মনে করেন জুহি। তিনি বলছেন, ‘‘বন্ধুরা যেমন একে অপরের দোষ ভুলে ক্ষমা করে দেন, সম্পর্কেও সেই মনোভাব থাকতে হবে। একে অপরের বিরুদ্ধে যদি প্রতিশোধস্পৃহা তৈরি হতে থাকে, তবে তা সম্পর্কের জন্য কখনওই সুলক্ষণ নয়’’।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement