বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। ফাইল চিত্র।
ঝালদা পুরসভার ৬ বিরোধী কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ। শুক্রবার এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। এ প্রসঙ্গে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, আগামী বুধবার পর্যন্ত ৪ কংগ্রেস এবং ২ নির্দল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ।
মামলাকারীদের আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী আদালতে জানান, শনিবার ওই পুরসভায় বোর্ড গঠনের কথা রয়েছে। আগেই আস্থাভোটে পরাজিত হয়েছেন তৃণমূলের চেয়ারম্যান। ফলে এখন বিরোধীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি। এর পরই হাই কোর্ট ৬ কাউন্সিলরকে রক্ষাকবচ দেওয়ার কথা জানায়।
গত ২১ নভেম্বর পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভার আস্থাভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় তৃণমূল। অন্য দিকে, ২ নির্দল কাউন্সিলরের সমর্থন পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে কংগ্রেস। ঘটনাচক্রে, পুরসভার আস্থাভোট যে দিন হয়, সে দিন হাজির ছিলেন না শাসকদলের কোনও কাউন্সিলর। পুরসভা দখলের পর ঝালদা শহরে বিজয় মিছিল করে কংগ্রেস। নিহত প্রাক্তন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর নামেও স্লোগান দেওয়া হয়।
গত অক্টোবর মাসে ঝালদার পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন বিরোধীরা। ১২ আসনের পুরসভার পাঁচ কংগ্রেস কাউন্সিলর এবং এক জন নির্দল কাউন্সিলর (মোট ছ’জন) অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন। ঠিক তার পরেই পুরসভায় শাসকদলকে বেকায়দায় ফেলে তৃণমূল ছাড়েন ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়। যিনি নির্দল প্রার্থী হিসাবে জিতে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁর দলত্যাগেই বদলে যায় সমীকরণ। ১২ আসনের পুরসভায় বিরোধী কাউন্সিলরের সংখ্যা বেড়ে হয় ৭। কার্যত স্পষ্ট হয়ে যায়, পুরসভা হাতছাড়া হতে চলেছে শাসকদলের। পুরপ্রধানের পদ হারাতে চলেছে তৃণমূল।
গত পুরভোটের পরেই খুন হন ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। সেই ঘটনা নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল গোটা রাজ্য। তপন খুনে শাসকদলকেই অভিযুক্ত করেছিল কংগ্রেস। সেই ঘটনার তদন্তভার পরবর্তী কালে সিবিআইয়ের হাতে যায়। তপন খুনের পর সেই ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিটে জেতেন তপনের ভাইপো মিঠুন কান্দু।