—প্রতীকী চিত্র।
চলতি শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএসে অক্টোবর মাসেও অনলাইনে এবং অফলাইনে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়েছেন পড়ুয়ারা। যদিও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে, প্রতি বছর এমবিবিএসে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্তই পড়ুয়া ভর্তি করা যাবে। কিন্তু সেই সময়সীমার পরেও ছাত্রছাত্রী ভর্তির বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন (এনএমসি) স্পষ্ট জানিয়ে দিল, ওই তারিখের পরে কোনও ভর্তি বৈধ নয়।
সম্প্রতি এনএমসি-র তরফে সব রাজ্যকে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। সেটি অনুযায়ী মেডিক্যাল কাউন্সেলিং কমিটি এবং সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজকে স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ, নির্ধারিত সময়ের পরে সবার ভর্তি বাতিল করতে হবে। স্বাস্থ্যকর্তারা জানাচ্ছেন, এর ফলে দেশের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে তো বটেই, এই রাজ্যের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলিতেও অনেক আসন ফাঁকা থেকে যাবে। এনএমসি সূত্রের খবর, এ বার পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও মহারাষ্ট্রে ডাক্তারিতে সব চেয়ে বেশি ভর্তি হয়েছে। কমিশনের নির্দেশিকার ফলে এই তিন রাজ্যে অন্তত হাজারখানেক পদ ফাঁকা থাকার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
স্বাস্থ্যকর্তারা জানাচ্ছেন, সরকারি হাসপাতালে চার-পাঁচটি করে আসন খালি থাকলেও তেমন সমস্যা হবে না। প্রতি বছরই সেখানে কিছু আসন ফাঁকা থাকে। রাজ্যে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে মোট মেডিক্যাল কলেজ ৩৫টি। তার মধ্যে ৯টি বেসরকারি। কাউন্সেলিংয়ে সরকারি মেডিক্যাল কলেজে কেউ সুযোগ না পেলে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন। তবে বিহারে নির্ধারিত সময়ের পরে ভর্তি আরও বেশি এবং মহারাষ্ট্রে সংখ্যাটা বাংলার প্রায় দ্বিগুণ।