নিশীথ প্রামাণিক এবং জগন্নাথ সরকার। ফাইল চিত্র।
বিধানসভা নির্বাচনে মোট ৭৭ আসনে জয় পেয়েছে বিজেপি। এ বার সেই সংখ্যা কমে হয়ে গেল ৭৫। সাংসদ পদেই বহাল থাকছেন নিশীথ প্রামাণিক এবং জগন্নাথ সরকার। ছেড়ে দিলেন দিনহাটা ও শান্তিপুরের বিধায়ক পদ। এমনটাই চেয়েছিলেন বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেই নির্দেশ মেনে বুধবার বিধানসভা এসে পদত্যগ করলেন তাঁরা। এর ফলে দিনহাটা ও শান্তিপুরে উপনির্বাচনের পরিস্থিতি তৈরি হল।
বিধানসভা নির্বাচনে লোকসভার ৪ সাংসদকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। ফলাফলে দেখা গিয়েছে, তাদের মধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় ও হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় পরাজিত হয়েছেন। কিন্তু মাত্র ৫৯ ভোটের ব্যবধানে হলেও তৃণমূলের উদয়ন গুহকে হারিয়ে দিনহাটা থেকে বিধায়ক হয়েছেন কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ। আবার শান্তিপুরে রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ ১৫,৮৭৮ ভোটে জয়ী হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি-র কাছে প্রশ্ন ছিল দল লোকসভা ভোটে জেতা ২টি আসন রক্ষা করবে নাকি কোচবিহার ও রানাঘাটে উপনির্বাচনের ঝুঁকি নেবে। শেষ পর্যন্ত গেরুয়া শিবির সিদ্ধান্ত নেয়, আপাতত বিধানসভার ২টি আসন ছেড়ে দিয়ে উপনির্বাচনের অপেক্ষা করা।
নিয়ম অনুযায়ী, কোনও জনপ্রতিনিধি একই সঙ্গে সাংসদ ও বিধায়ক পদ রাখতে পারেন না। ৬ মাসের মধ্যে একটি পদ ছাড়তে হয়। বুধবার নিশীথ ও জগন্নাথ ইস্তফা দেওয়ার আগে জানান, দলের নির্দেশেই তাঁদের পদত্যাগ। একই সঙ্গে তাঁরা দাবি করেন, উপনির্বাচনে এই দুই আসনে জয় পাবে বিজেপি। জগন্নাথ সংবাধমাধ্যমকে বলেন, ‘‘নির্বাচনের পরে যে ভাবে আমাদের কর্মীদের উপরে অত্যাচার চলছে, রাজ্যজুড়ে যে ভোট পরবর্তী হিংসার ছবি তার জন্যই মানুষ আরও বেশি ভোট দেবেন আমাদের।’’