শংসাপত্র নিয়ে বিকাশ ভট্টাচার্য, সঙ্গে বাম ও কংগ্রেস নেতারা। —নিজস্ব চিত্র।
সাংসদ হওয়ার শংসাপত্র হাতে পেয়েই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের কাজকর্মের বিরুদ্ধে সরব হলেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। সিপিএম সাংসদের মতে, দেশের প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর নেওয়ার তিন মাসের মধ্যে রঞ্জন গগৈয়ের রাজ্যসভায় মনোনয়ন বিচারব্যবস্থা সম্পর্কেই ভুল বার্তা দেবে। রাজ্যসভায় গিয়েও এই বিষয়ে তিনি প্রশ্ন তুলতে চান বিকাশবাবু।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত রাজ্যসভার পাঁচ প্রার্থীকে বুধবারই জয়ীর শংসাপত্র দিয়ে দিয়েছেন বিধানসভার সচিব তথা রাজ্যসভা নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার অভিজিৎ সোম। মনোনয়নের সময়সীমা ফুরিয়েছে এ দিনই। তৃণমূলের দীনেশ ত্রিবেদী, সুব্রত বক্সী, অর্পিতা ঘোষ ও মৌসম বেনজির নূরের পরে শংসাপত্র নেন বিকাশবাবু। মৌসম বলেন, মালদহ জেলায় তৃণমূলের সাংগঠনিক দায়িত্বের পাশাপাশি রাজ্যসভার সাংসদের কাজ করাই এখন চ্যালেঞ্জ।
পেশার সূত্রে আইনজীবী বিকাশবাবুর সঙ্গে ব্যক্তিগত ভাবে প্রাক্তন বিচারপতি গগৈয়ের পরিচয় আছে। কিন্তু গগৈয়ের রাজ্যসভায় যাওয়ার রাজনৈতিক অভিঘাত নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। বিকাশবাবুর কথায়, ‘‘শাসকের দাপাদাপিতে বিচারপতিদের মধ্যে অনেক সময় প্রতিক্রিয়া তৈরি হচ্ছে। আদালতের একাধিক সিদ্ধান্তেই তার ছাপ দেখা যাচ্ছে। শাসকের সঙ্গে যাঁরা আছেন, তাঁরা পুরস্কৃত হচ্ছেন। যাঁরা সঙ্গে নেই, তাঁরা তিরস্কৃত হচ্ছেন।’’ সিপিএম সাংসদের আরও মন্তব্য, ‘‘এই রাজ্যসভার মনোনয়ন গগৈয়ের প্রত্যাখ্যান করা উচিত ছিল। তিনি হয়তো সম্মানিত হচ্ছেন ভাবছেন, কিন্তু আসলে তিনি নিজেকে অসম্মানিত করলেন!’’
শংসাপত্র নিয়ে তৃণমূলের প্রার্থীরা।—নিজস্ব চিত্র।
কংগ্রেসের সমর্থনে রাজ্যসভায় বাম প্রার্থী হয়েছিলেন বিকাশবাবু। শংসাপত্র নেওয়ার সময়েও তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী, বিরোধী দল কংগ্রেসের সচেতক মনোজ চক্রবর্তী প্রমুখ। বিজেপির পাল্টা প্রশ্ন, কংগ্রেস সরকারও অতীতে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঙ্গনাথ মিশ্রকে সাংসদ করেছিল। বিকাশবাবুর বক্তব্য, মিশ্র প্রথমে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। অবসর নেওয়ার ৭ বছর পরে তিনি কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন, যার সঙ্গে গগৈয়ের ঘটনার তুলনা টানা ঠিক নয়।