COVID-19

জন্মের পর সংক্রমণ, ২৬ দিনে সুস্থ শিশু

ডাক্তারদের দাবি, জেলার চিকিৎসা পরিকাঠামোয় একাধিক অঙ্গে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া সদ্যোজাতকে বাঁচিয়ে তোলা বিরল।

Advertisement

সুপ্রকাশ চৌধুরী

বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০২১ ০৬:২২
Share:

বর্ধমানের নার্সিংহোমে মায়ের কোলে সদ্যোজাত। নিজস্ব চিত্র

জন্মের পর থেকেই শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছিল। শিশুর ভেন্টিলেশনের প্রয়োজন জানিয়ে নদিয়ার কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতাল থেকে ‘রেফার’ করা হয় কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তবে এক পরিচিতের সাহায্যে পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ লাইনের কাছে একটি নার্সিংহোমে দু’দিনের সন্তানকে ভর্তি করান বাবা-মা। রিপোর্ট আসে শিশুটি করোনা পজ়িটিভ। সঙ্গে ধরা পড়ে ‘মাল্টিসিস্টেম ইনফ্ল্যামেটরি সিন্ড্রোম’। টানা ২৪ দিন চিকিৎসার পরে, সুস্থ হয়েছে শিশুটি। সোমবার বাবা-মার কাছে দেওয়া হয়েছে তাকে।

Advertisement

ডাক্তারদের দাবি, জেলার চিকিৎসা পরিকাঠামোয় একাধিক অঙ্গে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া সদ্যোজাতকে বাঁচিয়ে তোলা বিরল। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শিশু বিভাগের প্রধান কৌস্তুভ নায়েকও বলেন, ‘‘এ ধরনের ঘটনা বিরল। তবে বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে এমন রোগী হাসপাতালে আসছে। আমরা তাদের সুস্থ করছি।’’

নার্সিংহোম সূত্রে জানা যায়, ১৯ জুন জন্মের পর থেকেই শ্বাসকষ্ট ধরা পড়ে। শিশুটিকে ২০ জুন থেকে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রাখা হয়। ২১ তারিখ করোনা পরীক্ষা করানো হলে রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। সংক্রমণ মেলে ফুসফুসে। রক্তচাপ খুবই কম ছিল। বিভিন্ন পরীক্ষা করে দেখা যায় সদ্যোজাত ‘মাল্টিসিস্টেম ইনফ্ল্যামেটরি সিন্ড্রোম’-এ আক্রান্ত। তার ফুসফুস, হৃৎপিন্ড, কিডনি-সহ একাধিক অঙ্গ সংক্রমিত। মায়েরও করোনা ধরা পড়ে। শুরু হয় লড়াই। ২৬ দিনের মাথায় শিশুটি সুস্থ হয়। আগেই সুস্থ হন তার মা।

Advertisement

সদ্যোজাতের বাবা সুজিত ঘোষ বলেন, ‘‘কলকাতা থেকে ফিরে আসার পরে, ভেঙে পড়েছিলাম। কিন্তু ডাক্তারেরা ভরসা দিয়েছিলেন। ওঁদের কাছে কৃতজ্ঞ।’’ নার্সিংহোমের ডিরেক্টর চিকিৎসক আশরাফুল মির্জা বলেন, ‘‘মা ও সদ্যোজাত দু’জনেই আক্রান্ত হয়েছিল। বাচ্চাটার অবস্থা গুরুতর ছিল। তাকে সুস্থ করাটা আমাদের চ্যালেঞ্জ ছিল। জেলার চিকিৎসার ক্ষেত্রে এটা বড় সাফল্য।’’ জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব রায় অবশ্য বলেন, ‘‘বিষয়টি খোঁজ নিতে হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement