Death in Police Custody

আত্মহত্যার তত্ত্ব, পুলিশি গাফিলতিও

প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, গোবিন্দকে থানার ভিতরে আটকে রাখা হয়েছিল। তখন সেরেস্তার পাশে অফিসারদের শৌচাগারে যান গোবিন্দ এবং সেখান থেকেই তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০২৩ ০৭:০০
Share:

—প্রতীকী ছবি।

নবগ্রাম থানায় ‘বন্দিমৃত্যুর’ ঘটনায় আত্মহত্যার তত্ত্বই কার্যত খাড়া করছে সিআইডি। পুলিশ সূত্রের খবর, গোবিন্দ ঘোষ নামে ওই ব্যক্তিকে নবগ্রাম থানা গ্রেফতার না করেই আটকে রেখেছিল। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে তদন্তকারীরা দাবি করলেও ওই থানার পুলিশকর্মীদের নানা গাফিলতির কথাও তদন্তে উঠে এসেছে। প্রসঙ্গত, এই ঘটনায় রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের দলও তদন্ত করেছে। কমিশনের অতিরিক্ত ওসি শান্তি দাস নবগ্রামে গিয়ে মৃতের পরিবারের সঙ্গে কথাও বলেছেন। তাদের তদন্তেও এই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে মনে করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, গোবিন্দের শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। ময়না-তদন্তেও আত্মহত্যার চিহ্ন মিলেছে।

Advertisement

প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, গোবিন্দকে থানার ভিতরে আটকে রাখা হয়েছিল। তখন সেরেস্তার পাশে অফিসারদের শৌচাগারে যান গোবিন্দ এবং সেখান থেকেই তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তবে গোবিন্দ আচমকা আত্মহত্যা কেন করবেন, সেই প্রশ্নের সদুত্তর এখনও মেলেনি। তদন্তকারীদের সূত্রের খবর, গোবিন্দকে থানায় আনা হলেও জেনারেল ডায়েরিতে তার উল্লেখ নেই। কোনও সমনও পাঠানো হয়নি। থানার অফিসারদের বয়ান নথিবদ্ধ করার পাশাপাশি সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পুলিশ সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম থানার সিঙ্গার গ্রামের বাসিন্দা কলকাতা পুলিশের কর্মী প্রবাল ঘোষের বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় ২ অগস্ট রাতে গোবিন্দকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় নবগ্রাম থানা। অভিযোগ, তাঁকে গ্রেফতার না করেই আটকে রাখা হয়েছিল। গত শুক্রবার রাতে গোবিন্দকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ এবং চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। গোবিন্দের পরিবার নবগ্রাম থানার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করে। থানার ওসি এবং তদন্তকারী অফিসারকে সাসপেন্ড করে তদন্তভার সিআইডিকে দেওয়া হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement