মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। নিজস্ব চিত্র।
২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গে তৃতীয় বার বিজয়ধ্বজা উড়িয়েই সর্বভারতীয় রাজনীতিকে পাখির চোখ করেছে তৃণমূল। সেই লক্ষ্যে এ বার দলীয় সংবিধান বদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বুধবার ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনে। সূত্রের খবর, বৈঠকে কমিটির সদস্যদের এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। ১৯৯৮ সালের ১ জানুয়ারি তৃণমূল গঠনের সময় দলীয় সংবিধান তৈরি হয়েছিল। সেই সংবিধানের উপর ভর করেই গত ২৩ বছর রাজনীতির পথ চলেছে সর্বভারতীয় তৃণমূল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় আসার ১০ বছরের মধ্যে বহরে বৃদ্ধি পেয়েছে বাংলার শাসকদল। এখন আবার পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় থাকার পাশাপাশি, মেঘালয়ের মতো রাজ্যে প্রধান বিরোধী দল তৃণমূল। সঙ্গে সদ্য সমাপ্ত ত্রিপুরার পুরভোটেও প্রায় ২০ শতাংশ ভোট পেয়েছে তৃণমূল। আগামী ফ্রেব্রুয়ারিতে গোয়া বিধানসভার ভোটেও অংশ নেবে তারা।
অন্য রাজ্যে তৃণমূলের সাংগঠনিক বিকাশের কারণেই সংবিধান বদলের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে বলে বৈঠকে উল্লেখ করেছেন দলের শীর্ষ নেতারা। দেশের সর্বস্তরে দলকে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলেই সূত্রের খবর। বৈঠকে হাজির এক রাজ্যসভার সাংসদের কথায়, "২৩ বছর আগে দল যেখানে ছিল, তার থেকে এখন অনেক বড় জায়গায় রয়েছে। সময়ের সঙ্গে দলের পরিকাঠামো এবং কাজ করার ধরনেও বদল এসেছে। সময়োপযোগী বদল সব সময় প্রগতির জন্য হয়। তাই দল যদি দলীয় সংবিধানে বদল আনে সেক্ষেত্রে আমাদের তা নিয়েই সর্বভারতীয় রাজনীতিতে এগিয়ে যেতে হবে।" সূত্রের খবর, বৈঠকে জানানো হয়েছে, শীঘ্রই দলের ওয়ার্কিং কমিটির সম্প্রসারণ হবে। সঙ্গে বদলানো হবে ২৩ বছর আগের সংবিধান।