ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি —ফাইল চিত্র।
ভবানী ভবনে বৃহস্পতিবার সাড়ে চার ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হল ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি জানান, সিআইডি আধিকারিকেরা ভাল। তাঁদের উপর চাপ সৃষ্টি না করলে তাঁরা অনেক ভাল কাজ করবেন। তবে সিআইডি আধিকারিকেরা সংখ্যায় কম বলেও জানিয়েছেন নওশাদ। আরও আধিকারিককে পুলিশ এবং সিআইডিতে নিয়োগের অনুরোধ করেছেন তিনি।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় ভাঙড়ের একটি খুনের মামলায় সিআইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েন নওশাদ। গত ২৮ অগস্ট তাঁকে প্রথম তলব করা হয়েছিল। তার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আবার ডেকে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভবানী ভবনে হাজিরা দেন তিনি। সাড়ে চার ঘণ্টা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
ভবানী ভবন থেকে বেরিয়ে নওশাদ বলেন, ‘‘আমি আজ পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ হয়, এমন কোনও কথা বলিনি। তাই আমার কোনও ভয় নেই। আমাকে যা যা জিজ্ঞেস করেছেন ওঁরা, উত্তর দিয়েছি। ডাকলে আবার যাব।’’
সিআইডির ভূমিকা প্রসঙ্গে নওশাদ বলেন, ‘‘সিআইডির উপর আমার কোনও ক্ষোভ নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তারা চলছে। তাই প্রশ্ন থেকেই যায়। ভোটের সময় আমাদের এক কর্মী মারা গিয়েছিলেন, তাঁকে নিয়ে আমরা মামলা করেছিলাম। থানার পক্ষ থেকে সেখানে গড়িমসি করা হয়েছে। আবার একই দিনের অন্য একটি ঘটনায় সিআইডি এত তৎপর!’’
পঞ্চায়েত নির্বাচনে বার বার তপ্ত হয়েছিল ভাঙড়। প্রাণও গিয়েছে অনেকের। তাঁদের মধ্যে যেমন আইএসএফ কর্মী রয়েছেন, তেমন শাসকদল তৃণমূলের কর্মীও রয়েছেন। গত ১৬ জুন নওশাদ-সহ ৬৮ জনের বিরুদ্ধে কাশীপুর থানায় মামলা দায়ের হয়েছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগ করেছিলেন ভাঙড় ২ ব্লকের হাটগাছা গ্রামের বাসিন্দা ঋত্বিক নস্কর। তাঁর অভিযোগ ছিল, পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন জমা করানোর জন্য হাটগাছার কয়েক জন বাসিন্দাকে নিয়ে তিনি এবং তাঁর শ্বশুর রাজু নস্কর ভাঙড় ২ ব্লকের দিকে যাওয়ার পথে দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হন। ঋত্বিক পালিয়ে যেতে পারলেও তাঁর শ্বশুরকে পিটিয়ে মারা হয় বলে অভিযোগ। নওশাদদের বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।
এর আগে নওশাদকে এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিআইডি। বৃহস্পতিবার সাড়ে চার ঘণ্টায় থামল প্রশ্নোত্তর পর্ব। নওশাদ জানান, কিছু নতুন প্রশ্ন থাকলেও বৃহস্পতিবারের অনেক প্রশ্নই আগের দিনও করা হয়েছিল তাঁকে।