প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
বঞ্চনার অভিযোগের মধ্যেই এল বরাদ্দ! শনিবার সমগ্র শিক্ষা মিশন প্রকল্পে এক হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ রাজ্যকে দিল নরেন্দ্র মোদীর সরকার। শিক্ষা দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, সমগ্র শিক্ষা মিশনের প্রাপ্য প্রথম পর্যায়ের এক হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে রাজ্যের মোট পাওনা ১৬০০ কোটি টাকা। যার প্রথম কিস্তির অর্থ এসে গিয়েছে কেন্দ্র থেকে। সাম্প্রতিক সময়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে একশো দিনের কাজের টাকা থেকে শুরু করে সরকারি আবাসন প্রকল্পের টাকা আটকে রাখার অভিযোগ তুলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সেই পরিস্থিতিতে এমন বরাদ্দ প্রাপ্তি প্রশাসনের কাছে বাড়তি অক্সিজেন বটে।
তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরে ‘দুয়ারে সরকার’-এর মতো কর্মসূচি, লক্ষ্মীর ভান্ডারের মতো কল্যাণ প্রকল্প চালু করে রাজ্য সরকার প্রচণ্ড আর্থিক চাপে পড়ে গিয়েছে। ওই সব সামাজিক প্রকল্প মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের মুকুটে একের পর এক পালক যোগ করে চলেছে এবং শাসক দল তাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিও রক্ষা করতে পেরেছে, এ কথা যেমন সত্য, তেমনই আবার ওই সব প্রকল্প রূপায়ণ করতে গিয়ে কোষাগারে চাপও অনেকটা বেড়েছে। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় বরাদ্দ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকটাই চাপে পড়েছে রাজ্যের অর্থ দফতর। তবে এ ক্ষেত্রে রাজ্য প্রশাসনের এক কর্তা জানিয়েছেন, সমগ্র শিক্ষা মিশন প্রকল্পে ৬০ শতাংশ অর্থ দেয় কেন্দ্র ও ৪০ শতাংশ দেয় রাজ্য সরকার। সেই পাওনা নিয়ে বাড়তি জল্পনা না করাই ভাল। কারণ এখনও একঝাঁক প্রকল্পের পাওনা অর্থ আটকে রয়েছে দিল্লিতে। যা আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতেই মেটানো সম্ভব। তবে সমগ্র শিক্ষা মিশন প্রকল্পে কেন্দ্রীয় অর্থ বরাদ্দকে আশার আলো হিসাবে দেখছে নবান্নের একাংশ।